ছোট ক্যানভাস থেকে বড় পর্দায় পা রেখেছেন কলকাতার ইধিকা পাল। বাংলাদেশের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক ঘটে। হিমেল আশরাফ পরিচালিত এই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান। এরপর বদলে যায় ইধিকার ভাগ্যরেখা।
শাকিবের সঙ্গে রোমান্টিক চরিত্রে দেখা গেছে ইধিকা পালকে। এরপর দেবের সঙ্গে কাজ করেন। এবার এসব রূপ বদলে বহুরূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। কলকাতায় নির্মিত হচ্ছে ‘বহুরূপ’ নামে সিনেমা। এটি পরিচালনা করছেন আকাশ মালাকার। সিনেমাটির একটি পোস্টারে সাঁওতালি এক মেয়ের রূপে ইধিকা সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন।
চরিত্র প্রসঙ্গে ইধিকা পাল বলেন, “সব সময় চেষ্টা করি, প্রতিটি চরিত্র নতুনভাবে তুলে ধরতে। যাতে প্রতিটি চরিত্রই দর্শক আলাদাভাবে মনে রাখেন। তবে হলফ করে বলতে পারি, এই ধরনের চরিত্রে আগে আমাকে ভাবা হয়নি। নিজেও ভাবিনি এমন একটা চরিত্রের প্রস্তাব পাব। অনেককিছু শিখেছি এই সিনেমা থেকে। আশা করি, দর্শককে নতুন কিছু উপহার দিতে পারব।”
আরো পড়ুন:
পুরোদমে কৃষি কাজ করব: বুবলী
নিরবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ওপারের ইধিকা
এ সিনেমায় ইধিকার বিপরীতে অভিনয় করছেন সোহম চক্রবর্তী। প্রথমবার জুটি বেঁধে রুপালি পর্দায় হাজির হবেন তারা। মজার ব্যাপার হলো, এ সিনেমায় সোহম সাতটি চরিত্র রূপায়ন করবেন। ইধিকা পালকেও বেশ কয়েকটি রূপে দেখা যাবে।
সিনেমাটিতে থ্রিলারের পাশাপাশি প্রেম-ভালোবাসা-আবেগের স্বাদও পাবেন দর্শকরা। সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন— কমলেশ্বর মুখার্জি, লোকনাথ দে, ভরত কল, দেবলিনা দত্ত প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চর ত র পর দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।