ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি এফডিসিতে নির্মিত হয়েছে কণ্ঠশিল্পী জয়ের গাওয়া ‘ধোকা’ শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। গানটির কথা লিখেছেন কামরুল হাসান সোহাগ এবং সুর করেছেন প্লাবন কুরাইশী। 

সংগীতায়োজনে ছিলেন তরিক আল ইসলাম। গানটির ভিডিওতে মডেল হয়েছেন প্রিয়া অনন্যা, তন্ময় সাবি, রুমি এবং বাংলা সিনেমার খলনায়ক ডন। কোরিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন প্রিন্স খান ও তার দল। ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। কণ্ঠশিল্পী জয় বলেন, ‘প্রতিটি শিল্পী তার মৌলিক গান নিয়ে আশাবাদী থাকে। আমি ব্যতিক্রম নই। দীর্ঘদিন পর ‘ধোকা’ গানটি নিয়ে শ্রোতাদের সামনে এলাম। যখন স্টুডিওতে গানটি রেকর্ড করছিলাম, তখনই অনেকেই প্রশংসা করেছেন। আশা করছি গানটি শ্রোতা-দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।”

 মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়া অনন্যা বলেন, “গ্ল্যামারাস লুকে কাজ করতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। এই গানটির মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি। পুরো প্রজেক্টটাই আমার খুব পছন্দ হয়েছে। দর্শকরা আমাকে এখানে একেবারে নতুন এক রূপে দেখতে পাবেন। জয় ভাইয়ের গায়কিতে অসাধারণ একটি নাচের গান ‘ধোকা’, এবং আমাদের টিমও দারুণ রসায়নে কাজ করেছে।”

মডেল তন্ময় সাবি জানান, “গানটির কথা এবং সুর চমৎকার। জয় ভাইয়ের গায়কীও প্রশংসার দাবি রাখে। আমার বিপরীতে কাজ করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় মডেল প্রিয়া অনন্যা, রুমি এবং ডন ভাই। ভিডিওটির দৃশ্যধারণ ও উপস্থাপনা হয়েছে বর্তমান সময়ের দর্শকদের রুচি মাথায় রেখে। আমরা প্রত্যাশা করছি এটি দর্শকনন্দিত হবে।” 

পরিচালক সৌমিত্র ঘোষ ইমন বলেন, “ঈদকে কেন্দ্র করে আমরা এই মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছি দর্শকদের বিনোদনের কথা চিন্তা করেই। গানটির প্রতিটি দৃশ্য পরিকল্পিতভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করছি ‘ধোকা’ সবার ভালো লাগবে।”
‘ধোকা’ মিউজিক ভিডিওটি আসছে ঈদে মুক্তি পাবে সাউন্ড বিডি ইউটিউব চ্যানেলে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নত ন গ ন গ নট র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আরপিওর বিধানের বৈধতার রায় রিভিউর জন্য হলফনামার অনুমতি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানের বৈধতা দিয়ে ১৪ বছর আগে রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদনের জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন দুজন আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আজ সোমবার হলফনামা করার অনুমতি দিয়েছেন।

আবেদনকারী সাত ব্যক্তি হলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন, মেজর (অব.) এস এম হারুনুর রশীদ, কাজী জাহেদুল ইসলাম, আইনজীবী এস এম আজমল হোসেন, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান ও সালাহ উদ্দিন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলায় আবেদনকারীরা পক্ষ ছিলেন না। যে কারণে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন দায়েরের জন্য হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। চেম্বার আদালত হলফনামা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই রিভিউ আবেদন করা হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১২(৩ক)(ক) বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে ওই তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হবে না।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ঢাকার একটি আসন থেকে ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মনোনয়নপত্র নেন। পরে নির্বাচনের ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। অন্যদিকে ২০০৮ সালে আরপিও দফা ১২(৩ক)–তে সংশোধনী আনা হয়। এই বিধান সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও আরপিওর ১২(১) ধারার পরিপন্থী উল্লেখ করে মাহবুব আহমেদ চৌধুরী ২০১০ সালে হাইকোর্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে রায় দেন। দফা (৩ক) সংবিধান পরিপন্থী নয় বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন রিট আবেদনকারী। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নের সঙ্গে যুক্ত করাসংক্রান্ত আরপিওর ১২(৩ক)–তে বেআইনি কিছু পাননি বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দুই আইনজীবীসহ সাত ব্যক্তি আবেদন করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ভোটারের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। ভোটার কোন প্রার্থীকে ভোট দেবেন বা দেবেন না, এটি একান্তই তাঁর চিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার। সিক্রেট ব্যালটে হামলা হলে ভোট বাতিলও হয়। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করা আছে। রাজনৈতিক দল হলে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগবে না, অথচ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে লাগবে অর্থাৎ একই মনোনয়নপত্র ঘিরে দ্বৈত বিধান। ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন থাকার ওই বিধানের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা সংবিধান সমর্থন করে না এবং ভোটারের গোপনীয়তারও লঙ্ঘন—এসব যুক্তি তুলে ধরে আবেদনটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ