রিয়ালের অপেক্ষায় থেকে পিএসজির পথে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার
Published: 2nd, June 2025 GMT
আর্জেন্টাইন বিস্ময়বালক খ্যাতি পেয়েছেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে খেলেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে রিভার প্লেটে অভিষেক হয় তার। সম্প্রতি ডাক পেয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে।
ক্লাবে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ১৮ বছরে পা দেওয়ার পথে থাকা তরুণ পিএসজি’তে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ফুটবল দলবদল বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো দাবি করেছেন, মাস্তানতুনোর রিলিজ ক্লজ ৪৫ মিলিয়ন ইউরো। পিএসজি ওই অর্থ দিয়ে রিভার প্লেট থেকে তাকে কিনতে যাচ্ছে।
দুই পক্ষের এজেন্টের মধ্যে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গেছে। খেলোয়াড়ের দিক থেকেও সবুজ সংকেত মিলেছে। এখন দুই পক্ষ চুক্তি সম্পন্ন করার পরের ধাপে এগোবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রিভার প্লেট পিএসজির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি। আসন্ন আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রস্তাব পাঠিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে লা প্যারিসিয়ানরা।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের মতে, মাস্তানতুনোর প্রতিভা বিবেচনা করে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে দলে ভেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করে। অনেকগুলো প্রস্তাব সামনে থাকলেও তিনি রিয়ালের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লস ব্লাঙ্কোসরা এই তরুণের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, একই রকমের তরুণ ফুটবলার এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদে আছেন। যেমন আর্দা গুলার গত প্রায় দুই মৌসুমে রিয়ালের বেঞ্চেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। এবার তাকে মূল একাদশে নিয়মিত খেলাতে চায় ব্লাঙ্কোস কর্তৃপক্ষ। আবার কোমোয় ধারে খেলা আর্জেন্টাইন প্লে মেকার নিকো পাজকে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে রিয়াল।
একই পজিশনে একাধিক তরুণ ফুটবলার কিনলে দুই পক্ষেরই ক্ষতি মনে করছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে গুলার, পাজের পাশাপাশি মাস্তানতুনোর মতো তরুণ প্রতিভার বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মনে করছে ব্লাঙ্কোসরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল প এসজ ফ র ঙ ক ম স ত নত ন ম স ত নত ন আর জ ন ট প এসজ
এছাড়াও পড়ুন:
উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। আর প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প নিয়েও কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না।
রোববার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘সংকটে তিস্তা নদী: সমাধানের পথ কী?’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জমান। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে কোনো পানিবণ্টন চুক্তি না থাকায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম না মেনে উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তিস্তা নদী মারাত্মক সংকটে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে আর বর্ষাকালে নিয়ন্ত্রণহীন পানিনির্গমনের ফলে বাংলাদেশ অংশে বন্যা ও ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।
মতবিনিময় সভায় বিশেষজ্ঞরা তিস্তা সমস্যার সমাধানে ভারতের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের মতামত গ্রহণের ওপর জোর দেন। তাঁরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে স্বচ্ছতা ও পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের কাছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কোনো তথ্য নেই। বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের নামে দেশের নদীগুলোকে সংকুচিত করা হয়েছে। আমরা আর সংকুচিত করার উন্নয়ন চাই না। নদীকে নদীর মতোই রাখতে হবে।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থকে উপেক্ষা করে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। যেসব প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি, সেসব প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই জনগণের মতামত নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সামর্থ্য অনুযায়ী প্রকল্প নেওয়া উচিত। নদীকে রক্ষা করতে হবে কিন্তু তাকে খালে পরিণত করে নয়। এই প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
বাপার প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বাপা কখনো উন্নয়নবিরোধী নয়। আমরাও চাই দেশের উন্নয়ন হোক। কিন্তু সেই উন্নয়ন হতে হবে দেশের প্রাণপ্রকৃতি, পরিবেশ ও নদীকে ঠিক রেখে। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কেউ খোলামেলা কথা বলতে চাইছেন না। সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে সংবেদনশীল হওয়ায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।’
বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, পরিবেশবিদ, গবেষক ও তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা অংশ নেন।