টানা ভারি বর্ষণের ফলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি ব্রিজ ধসে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। ব্রিজটি ধসে পড়ায় সালথা-মোন্তারামোড় সড়কে যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ ধসের ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের অবস্থান উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া ইজারাপাড়া এলাকায়।

তারা আরও জানান, খালের ওপর নির্মিত পুরোনো ব্রিজটি অতিরিক্ত পানি ও স্রোতের কারণে ভেঙে পড়ে। প্রায় ২৫ বছর আগে স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই ব্রিজটি ব্যবহার করে প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫টি গ্রামের মানুষ ফরিদপুর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করতেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে লোকজনকে বিকল্প ও দীর্ঘ পথ ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে, যা সময় ও খরচ উভয়ই বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় ইজিবাইক চালক ফায়েজুর বলেন, ‘গত রাতে ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এখন যাত্রী পরিবহনে চরম সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত এই ব্রিজটি মেরামতের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘ব্রিজটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। দ্রুতই মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.

আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সমস্যা সমাধান হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা-যমুনা সেতুতে টোল আদায়ে রেকর্ড, সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপার

পদ্মা ও যমুনা সেতু দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক যানবাহন পারাপার এবং সর্বোচ্চ টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ দিন সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। 

এছাড়া একই দিনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু যমুনা দিয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে সর্বোচ্চ চার কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা। এটি উভয় সেতুর ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড।

সেতু বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয় এবং ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল চার কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। আর ২০২৩ সালের ২৭ জুন যমুনা সেতু ব্যবহার করে ৫৫ হাজার ৬২১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৪ জুন তিন কোটি ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ