রাজধানীর অলিগলিতে বসেছে ছাগলের হাট। শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে এসব হাট। বৃহস্পতিবার মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, মগবাজার, বাংলামোটর, কলাবাগান, ধানমন্ডি, মিরপুর এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

মাদারীপুর থেকে ১০টি ছাগল নিয়ে মৌচাক মার্কেটের পাশে লিলি মার্কেটের খালি জায়গায় এসেছেন ইমরান নাজির। ৮ কেজি ওজনের ছাগলের দাম চাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বছর ১০-২০ টা করে ছাগল নিয়ে আসি। রাস্তায় বিক্রি করি। এতে হাসিল দেওয়া লাগে না। আবার হাটের থেকেও ৫০০-১০০০ বেশি বিক্রি করা যায়। 

এই হাটে ছাগল কিনতে এসেছেন সিদ্ধেশ্বরীর হামিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘গতকাল শাহজাহানপুর হাট থেকে গরু কিনেছি। আর একটা ছাগল কোরবানি দেব। হাটের থেকে মোড়ে ছাগলের দাম খুব বেশি না। তাই আর হাটে যায়নি। মোড় থেকেই ছাগল কিনছি।’

মৌচাক থেকে মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচে ছাগলের হাট বসেছে। মানিকগঞ্জ থেকে ২০টি ছাগল নিয়ে এসেছেন রহিম মিয়া। ১২টি ছাগল বিক্রি করেছেন। আরও ৮টি ছাগল আছে। তিনি বলেন, ‘বাড়তি লাভের আশায় ঢাকায় ছাগল নিয়ে এসেছি। আজ বিকালের মধ্যে বিক্রি করে বাড়িতে যাবো।

কাঁঠালবাগানের রইসউদ্দিন বাংলামোটর থেকে খাসি কিনেছেন। তিনি বলেন, এ বছর খাসি কোরবানি দিব। এখানেই প্রত্যেক ঈদে ছাগল পাওয়া যায়। তাই ছাগল কিনতে হাটে না গিয়ে এই সড়কের হাটেই এসেছি।

হাতির ঝিলের সড়কের পাশ থেকে ছাগল কিনেছেন সিয়াম। তিনি বলেন, ‘এখানে হাটের থেকেও দাম কম। হাসিল দেওয়াও লাগে না। হাটের ভিড় কাঁদা পানির ঝামেলাও নেই। এখানে কয়েকজন কাঁঠালের পাতাও বিক্রি করছেন। সেখান থেকে কাঁঠালের পাতাও কিনেছি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ