দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর জামায়াত নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি
Published: 7th, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদের (৬০) মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোখলেছুর রহমান হারুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন রনিকে এই তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিহত কাউছার আহমেদ বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকায় কাউছারের ভাই আলতাফ হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কর্মী রিয়াজ হোসেন ও সোহাগের মারামারি হয়। এ সময় কাউছারসহ তাঁর পরিবারের চার সদস্য আহত হন। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেলে কাউছার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির পরিবার ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, বিএনপির কর্মী রিয়াজসহ অন্যদের মারধরের কারণে কাউছারের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় একটি ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়। মারামারি হয়েছে সকালে, তিনি মারা গেছেন সন্ধ্যায়। আমরা শুনেছি, এর আগেও তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন। এখনো স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।’
কাউছারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে জানিয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, কী কারণে তিনি মারা গেছেন, তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ জানান, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কেরানীগঞ্জে বহুতল ভবনের আগুন
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জমেলা টাওয়ারে লাগা আগুন ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট। আগুন লাগা ভবনে আটকেপড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস৷
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডাইরেক্টর (অপারেশন) তাইজুল ইসলাম। এর আগে, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ১২ তলা ওই ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে।
আরো পড়ুন:
কৃষিজমি ক্ষতির শঙ্কায় ভেকুসহ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ
সুনামগঞ্জে আগুনে পুড়ল ৭ ঘর
তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে আরো ১০টি ইউনিট যুক্ত হয়। বর্তমানে ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে আটকে পড়া ৪৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘ভবনের ভেতরে বিপুল পরিমাণ দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবিবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে অতিরিক্ত ইউনিট মোতায়েন করা হবে এবং আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘‘এখনই সূত্রপাত বলা যাবে না, আগে আগুন নিয়ন্ত্রণ করব, তারপর সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।’’
ঢাকা/শিপন/রাজীব