লক্ষ্মীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর জামায়াত নেতা কাউছার আহমেদের (৬০) মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোখলেছুর রহমান হারুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন রনিকে এই তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নিহত কাউছার আহমেদ বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়ন জামায়াতের ওলামা বিভাগের এক নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকায় কাউছারের ভাই আলতাফ হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির কর্মী রিয়াজ হোসেন ও সোহাগের মারামারি হয়। এ সময় কাউছারসহ তাঁর পরিবারের চার সদস্য আহত হন। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেলে কাউছার অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, বিএনপির কর্মী রিয়াজসহ অন্যদের মারধরের কারণে কাউছারের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় একটি ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়। মারামারি হয়েছে সকালে, তিনি মারা গেছেন সন্ধ্যায়। আমরা শুনেছি, এর আগেও তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন। এখনো স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন বলে চিকিৎসকেরা ধারণা করছেন।’
কাউছারের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে জানিয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, কী কারণে তিনি মারা গেছেন, তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ জানান, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় মোস্তফা কামাল নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে তার ওপর হামলা হয়। নিহত মোস্তফা কামাল একই গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোস্তফা কামাল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছে সড়কে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। তারা তার মাথা ও ঘাড়ে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’

বান্দরবানে যুবককে পাথর দিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার  ২

একজন পথচারী মোস্তফা কামালকে সড়কের পাশে পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেন। তারা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক মোস্তফা কামালকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সরাইল থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ