ঈদের দিন পশু কোরবানি ও মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত শতাধিক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ শনিবার সরেজমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, হাত-পায়ে কাটা ও ক্ষতসহ পশু কোরবানি ও মাংস কাটার সময় বিভিন্নভাবে আহত লোকজন চিকিৎসা নিতে আসছেন।
মাংস কাটার সময় হাত কেটে যায় রাজধানীর রায়েরবাগের বাসিন্দা মো.
পায়ে আঘাত নিয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন রাজধানীর লালবাগ এলাকার বাসিন্দা রাসেল মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গরুর হাড় কাটার সময় ভারী চাপাতির উল্টো পাশের আঘাতে পায়ে ব্যথা পান তিনি। এক্স-রে করা হয়েছে। চিকিৎসককে রিপোর্ট দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছেন।
দুপুর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকেন আহত ব্যক্তিরা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আহত ব্যক্তিদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল চারটা নাগাদ এ সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।
বিকেল চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) মোস্তাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত পশু কোরবানি ও মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে আহত হয়ে শতাধিক ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। একজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ট র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।