ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই অপেশাদার (মৌসুমি) কসাই।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত সহকারী ইনচার্জ (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, “ঈদের দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে ধারাল ছুরির আঘাতে নারী শিশুসহ ১২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারীসহ ২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অধিকাংশ মৌসুমী কসাই। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ৬০ জনের মতো হাসপাতাল ত্যাগ করেন।”
আরো পড়ুন:
লংমার্চ টু যমুনায় পুলিশের বাধা, আহত ৩৮ জন ঢামেকে
রাজধানীতে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গৃহকর্তা গ্রেপ্তার
ঢামেক ক্যাজুলিটি বিভাগে দায়িত্বরত স্বপন সরদার বলেন, “প্রতি বছর ঈদুল আজহায় পশু জবাই করার সময় ধারাল ছুরির আঘাতে আহতের ঘটনা ঘটে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার তার অর্ধেক। গত বছর সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০০ এর উপরে আহত সংখ্যা ছিল। এবার আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রূপগঞ্জ, নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন ঢামেকে।”
ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা.
ঢাকা/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ক রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।