পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজও ছোট পর্দায় রয়েছে নানা আয়োজন। রয়েছে নাটক, টেলিফিল্ম, বাংলা সিনেমাসহ নানা আয়োজন। জেনে নেওয়া যাক এসব আয়োজনের খবর।

এটিএন বাংলা
বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠান ‘পায়েল বাজে’। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে নাটক মন্দ মানুষ। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, হিমি। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নাটক ডিজে মকবুল। অভিনয়ে নিলয়, তানিয়া বৃষ্টি। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘পাঁচফোড়ন’। রাত ১১টায় টেলিফিল্ম বরিশাল টু কানাডা। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানজিকা আমিন।

চ্যানেল আই
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম তবুও মন। অভিনয়ে জোভান, তটিনী। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে নাটক অন্তরে অন্তরে গল্প। অভিনয়ে শাহেদ শাহরিয়ার, মাফতোহা জান্নাত জিম। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে নাটক ফিরে আসা। অভিনয়ে অপূর্ব, তটিনী।

এনটিভি
বেলা ২টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম তোমাকেই ছুঁতে চাই। অভিনয়ে আরশ খান, সামিরা খান মাহি। সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে একক নাটক শেষ গান। অভিনয়ে জোভান, তানজিন তিশা। রাত ৯টা ১০ মিনিটে একক নাটক ভাই ভাবি। অভিনয়ে নিলয়, হিমি। রাত ১১টা ৫ মিনিটে একক নাটক প্রেশার ম্যান। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানহা তাসনিয়া।

আরটিভি
বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সংগীতানুষ্ঠান ‘ফোক স্টেশন’। শিল্পী: লুইপা। সন্ধ্যা ৭টায় একক নাটক যদি কিন্তু তবুও। অভিনয়ে জোভান, সাফা কবির। রাত ৮টায় একক নাটক ঝালমুড়ি। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ, কেয়া পায়েল। রাত ৯টা ৩০ মিনিটে একক নাটক তোমার জন্য ভালোবাসা। অভিনয়ে নিলয়, হিমি।

বাংলাভিশন
বেলা ২টা ১০ মিনিটে টেলিফিল্ম ঝগড়াটে কাপল। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, হিমি। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে নাটক জলের প্রেম। অভিনয়ে নিলয়, হিমি। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নাটক নাইস টু মিট ইউ। অভিনয়ে মুশফিক ফারহান, মীম। রাত ৯টা ২৫ মিনিটে নাটক এলিয়েন বেবি। অভিনয়ে জোভান, তটিনী। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে নাটক ভুলোমনা। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি।

বৈশাখী টেলিভিশন
বেলা ১১টায় ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’। অতিথি: কণ্ঠশিল্পী নাসির ও অনুপমা মুক্তি। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ঈদ ম্যাগাজিন ‘অন্য রকম ঈদ আনন্দ’। রাত ৮টা ১০ মিনিটে একক নাটক চাপাবাজ ফ্যামিলি। অভিনয়ে মোশারফ করিম, জুঁই। রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে একক নাটক আমার ভাঙা গাড়িতে। অভিনয়ে নিলয়, হিমি। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মেগা নাটক বিবাহ অভিযান। অভিনয়ে আবু হুরায়রা তানভীর, জেবা জান্নাত।

মাছরাঙা টেলিভিশন
সকাল ৭টায় ‘রাঙা সকাল’। অতিথি: গুলতেকিন খান ও নুহাশ হুমায়ুন। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে নাটক লাভ ইন দ্য এয়ার। অভিনয়ে মুশফিক ফারহান, আইশা খান। রাত ৮টায় নাটক ‘হাফ বয়েল ভালোবাসা’। অভিনয়ে মোশাররফ করিম, সামান্থা। রাত ১০টা ২০ মিনিটে নাটক মন মানে না। অভিনয়ে মুশফিক ফারহান, সাদিয়া আয়মান। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে টেলিফিল্ম বেঈমান। অভিনয়ে জোভান, নাজনীন নিহা।

দীপ্ত টিভি
সন্ধ্যা ৭টায় একক নাটক চিঠি দিয়ো। অভিনয়ে অপূর্ব, তটিনী। রাত ৮টায় একক নাটক পূর্ণতা তুমি। অভিনয়ে নিলয়, হিমি। রাত ১০টায় একক নাটক মুখোমুখি অন্ধকার। অভিনয়ে ইয়াশ রোহান, সাবিলা নূর। রাত ১১টা ১০ মিনিটে মিউজিক্যাল অনুষ্ঠান ‘দীপ্ত মিউজিক স্টুডিও’।

নাগরিক টেলিভিশন
রাত ৮টায় ‘তারকা আড্ডা’। অতিথি: কেয়া পায়েল। রাত ৯টায় নাটক হোমিওপ্যাথিক প্রেমিক। অভিনয়ে শাশ্বত দত্ত, ফারিন খান। রাত ১০টায় ‘তারায় তারায়’। অতিথি: জাকিয়া বারী মম। রাত ১১টায় লাইভ মিউজিক্যাল শো ‘বাংলা বাউল’। শিল্পী: শিমুল হাসান।

আরও পড়ুনঈদের সিনেমা দিয়ে অভিষেকেই আলোচনায়, দুই তরুণকে কতটা চেনেন১৫ মে ২০২৫

দুরন্ত টিভি
বিকেল ৫টা ও রাত ৮টায় নাটক হৈ হৈ হল্লা: সিজন ৩। অভিনয়ে আবুল হায়াত, কাজী আফরা ইভিলিনা, সমাদৃতা প্রহর। সকাল ৯টা ৩০ মিনিট ও বেলা ২টা ৩০ মিনিটে রান্নাবিষয়ক নাটক রাঁধিবাড়ি খাইদাই: সিজন ২। অভিনয়ে রামিজ রাজু, সুকন্যা, অরণ্য শুদ্ধ। বেলা ১টা ৩০ মিনিট ও বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। সকাল ৮টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শিশুদের মিউজিক্যাল শো ‘দুরন্তপনা’। সন্ধ্যা ৭টায় গেম শো ‘মা-বাবাই সেরা’। রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গেম শো ‘দুরন্ত ফ্যামিলি’।

নেক্সাস টেলিভিশন
রাত ৯টা ৩০ মিনিটে সেলিব্রিটি টক শো ‘কাট আনকাট’। অতিথি: অভিনয়শিল্পী কেয়া পায়েল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৪০ ম ন ট ৩০ ম ন ট ১০ ম ন ট র ত ১০ট র ত ১১ট ফ রহ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হোক

রাজধানী শহরসহ দেশের বড় শহরগুলোয় শব্দদূষণের অসহনীয় মাত্রার বিষয়টি কারও অজানা নয়। এটি এখন শুধু শব্দদূষণ নয়, শব্দসন্ত্রাস বলেও অভিহিত হচ্ছে। অতীতে ও বর্তমানে সরকারগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর হচ্ছে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

শহরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নীরব এলাকা ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবশ্যই সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর হবে, নাকি এটিও অতীতের মতো কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তার ফল তেমন একটা ভালো পাওয়া
যায়নি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোষণার পর কিছু এলাকায় শব্দ কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং এর কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

শব্দদূষণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলতেই হয়। যার কারণে সাউন্ডবক্স বা মাইক বাজানোর বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে গাড়ির হর্ন এতটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা অকল্পনীয়। এটিই এখন রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত শব্দ হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটিতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মানুষ অনিদ্রায় ভোগে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই শুধু অভিজাত এলাকা নয়, পুরো শহরে ধাপে ধাপে কীভাবে নীরব এলাকা ঘোষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।

তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তা যদি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, এ ঘোষণা কখনোই সফল হবে না। কেবল প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে নীরব এলাকা–ঘোষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানে গণসচেতনতার কাজে যুক্ত করতে হবে।

গাড়ির হর্ন বাজানো সীমিত করতে পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের সমিতি–সংগঠনগুলোর যুক্ততাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির চালকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের জন্য শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকটি নিয়মিতভাবে তাঁদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নসহ উচ্চমাত্রার যেকোনো হর্ন উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ