লাল-সবুজের জার্সি গায়ে হামজা চৌধুরীর অভিষেক হয়েছে ভারত ম্যাচের বিপক্ষে। ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহমিদুলও বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ভুটানের বিপক্ষে। অপেক্ষা এখন আরেক প্রবাসী শমিত সোমের।
বুধবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেন তিনি। কিন্তু কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলারকে কোন পজিশনে খেলাবেন কোচ ক্যাবরেরা। কার জায়গাতেই বা খেলাবেন তিনি। এমনিতে কানাডার ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে থাকেন তিনি। যে পজিশনে ভুটানের বিপক্ষে খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। তাহলে কি তার বদলেই শুরুর একাদশে দেখা যাবে শমতিকে?
উত্তর মিলছে না বাংলাদেশ কোচ তার দলকে নিয়ে ক্লোজড ডোর অনুশীলন করতে থাকায়। তবে শমিত নিজে জানিয়েছেন, তিনি ‘নম্বর এইট’ পজিশনে খেলে থাকেন বেশি। যার দায়িত্বই বক্স টু বক্স খেলা। সেখানে হয় তাকে হামজার পাশে নয়তো সামনে খেলাতে পারেন ক্যাবরেরা। আপাতত যা খবর তাতে হামজার সামনেই দেখা যেতে পারে শমিমতকে। সেই সঙ্গে শুরুর একাদশে আরেকটি পরিবর্তনের ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। সোহেল রানার জায়গায় মোহাম্মদ হৃদয়কে নামাতে পারেন কোচ।
তবে পজিশন যাই হোক না কেন শমিত প্রস্তুত বাংলাদেশের হয়ে তার অভিষেক ম্যাচের জন্য। ভুটানের বিপক্ষে ক্যাবরেরার ৪–২–৩–১ ফরমেশনে মাঠ সাজিয়েছিলেন। যেখানে রক্ষণে সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ, তারিক কাজী আর তাজ উদ্দিনকে দিয়ে রক্ষণ সাজিয়েছিলেন কোচ। পাঁচ মিডফিল্ডারের সঙ্গে সেন্টার ফরোয়ার্ড রেখেছিলেন রাকিব হোসেনকে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও এই ফরমেশন থাকবে কিনা বলা যাচ্ছে না। তবে পাঁচ মিডফিল্ডারের মধ্যে হামজা, সোহেল, ফাহমিদুল, জামাল, কাজেমের মধ্যে থেকে কোনো একজনের জায়গায় শুরুর একাদশে দেখা যেতে পারে শমিতকে।
ভুটানের বিপক্ষে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে শুরুর একাদশে ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। সিঙ্গাপুর ম্যাচে হয়তো ম্যাচের শেষদিকে বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে তাকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট