‘ইনসাফ’-এ ন্যাড়া মাথার চঞ্চল, সারপ্রাইজ ক্যামিওতে যা বলছেন দর্শক
Published: 8th, June 2025 GMT
এই ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি সিনেমার মধ্যে অন্যতম আলোচিত ছবি হয়ে উঠেছে তাসনিয়া ফারিণ ও শরীফুল রাজ অভিনীত ‘ইনসাফ’। শুরু থেকেই সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল তুঙ্গে। তবে হলে গিয়ে দর্শকরা যে চমক পেয়েছেন, তা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত—হঠাৎ করেই পর্দায় হাজির চঞ্চল চৌধুরী!
‘ইনসাফ’-এর কাস্টিং তালিকায় ছিল না চঞ্চলের নাম। তাই সিনেমা দেখতে গিয়ে তাকে পর্দায় দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছেন দর্শকেরা। জানা যাচ্ছে, তিনি একটি রহস্যময় ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর চমকের বড় কারণ ছিল তার লুক—একেবারে ন্যাড়া মাথা, রক্তমাখা দা হাতে, অথচ শান্তভাবে বাজাচ্ছেন ভায়োলিন!
চঞ্চলের এই লুক ও উপস্থিতি যেন পুরো সিনেমার আবহটাই পাল্টে দিয়েছে বলে মনে করছেন ভক্তরা। তাদের ভাষায়, “ন্যাড়া মাথায় চঞ্চলের এই সারপ্রাইজ ক্যামিও সিনেমাটিকে এক অন্য মাত্রা দিয়েছে।”
এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে চঞ্চলের এই দৃশ্যের একটি স্থিরচিত্র। ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়, নিজেই সেটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ফলে নেটিজেনদের ধারণা, তিনি ভক্তদের ভালোবাসা ও প্রতিক্রিয়াকে গ্রহণ করেছেন আনন্দের সাথেই।
চঞ্চল চৌধুরীর রহস্যময় চরিত্রের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। আগেও ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ‘ইনসাফ’-এ তার এই নতুন অবতারে আবারও তিনি প্রমাণ করলেন—তিনি চমক দিতে জানেন!
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইনস ফ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) সহকারী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ নগরীর কোটবাড়ি রোডের চাঙ্গেনী মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ওই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে এবং কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। দুটি মামলায় আসামি হলেও তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত অফিস করতেন। এছাড়া নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি (তোফাজ্জল) ২০২০ সালের ১০ জুলাই চাঙ্গেনী এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে ওই মামলায় জামিনে আছেন।