১০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি, কাঁচামাল আমদানিতে ব্যয় ৪ বিলিয়ন
Published: 9th, June 2025 GMT
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক জানুয়ারি-মার্চে দেশ থেকে মোট ১০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে কাঁচামাল আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৪২৫ কোটি ডলার। তার মানে, গত প্রান্তিকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ ৫৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ছিল ৬১ শতাংশ।
তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকের পর থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন ৬০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।
পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
গত দুই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গেছে। পরিসংখ্যানের এই গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে নিয়ে আসে। তারপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন করা হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজনের হার কমে যায়।
রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে ৬২ শতাংশে নামে। এ ছাড়া গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৯৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তখন ৩৮৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল। সেই হিসাবে ওই প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন হয়েছিল ৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বরে রপ্তানি হয় ১ হাজার ৩৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তখন আমদানি হয়েছিল ৪০৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। তাতে মূল্য সংযোজন দাঁড়ায় ৬১ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল য স য জন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে ১০ দিনে প্রবাসী আয় ১২৯ কোটি ডলার
চলতি ডিসেম্বর মাসের ১০ দিনে দেশে বৈধ পথে ১২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যা ১৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা) অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন গড়ে দেশে আসছে ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার বা এক হাজার ৫৭৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রবাসী আয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে।এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, আগস্ট মাসে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার, জুলাই মাসে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ঢাকা/নাজমুল/এসবি