জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা দেশটির স্থানীয় কোচ ব্লেসিং মাফুওয়ার বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করেছেন। মেট্রোপলিটন ক্রিকেট অ‌্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এই অলরাউন্ডার। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সাময়িকভাবে ওই কোচকে বহিস্কার করা হয়েছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে।

রাজার দাবি, মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকে ইঙ্গিত করে বর্ণবাদী ও অবমাননাকর মন্তব‌্য করেছিলেন কোচ। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও করেছেন। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার ভাষ‌্য, ‘‘দোষী প্রমাণিত হলে তাকে দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক যেন বর্তমানে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কারও এমন অভিজ্ঞতার শিকার না হতে হয়।”

গত ১ জুন ওল্ড হারারিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠের ঘটনা সেটি। ভিনিয়া কাপের ম্যাচে ওল্ড হারারিয়ান্সের হয়ে রাজা খেলছিলেন রেইনবো ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ম‌্যাচে রাজার দল ১৪২ রানে জয় পায়। রাজা ৫৬ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন। 

রাজার অভিযোগের পর রেইনবো ক্রিকেট ক্লাবের কোচকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘বর্ণবাদের অভিযোগকে আমরা কখনও হালকা করে নেই না। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করব আমরা।"

 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ