পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
Published: 12th, June 2025 GMT
ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বোর্ড অব ট্রেডের সভাপতি জনাথন রেনল্ডস বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধির কৌশল এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রেনল্ডস বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অবৈধ অর্থ পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ব্যাংক খাত সংস্কার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়গুলো।
বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড.
বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করার প্রস্তাব দেন। তিনি জানান, ঢাকা ইতোমধ্যে জাপানসহ একাধিক দেশের সঙ্গে এফটিএ আলোচনা শুরু করেছে।
বৈঠকে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন এবং ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক অংশগ্রহণ করেন। সূত্র-বাসস
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মোংলা বন্দরে করোনা সতর্কতা জারি
দেশে-বিদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্দর জেটিতে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্রপাতি। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে জেটিতে প্রবেশের আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, মাস্ক পরিধান এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দর এলাকায় কর্মরত শ্রমিক এবং বিদেশি জাহাজের নাবিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা বন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫ জুন বন্দর অফিস খোলার পর অফিসেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”
তিনি জানান, করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর হাসপাতালের দুটি বিশেষ নম্বরে যোগাযোগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকেও ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তবে, এই সতর্কতা আমদানি-রপ্তানির স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছেন মো. মাকরুজ্জামান।
বর্তমানে বন্দরে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। আমদানি-রপ্তানিকারকরা নিয়মিতভাবে জেটিতে এসে তাদের পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চ্যানেলের ফেয়ারওয়েসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতেও স্বাভাবিক নিয়মে পণ্য পরিবহন চলছে।
স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চললে বন্দর ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবে বলে আশা করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা/শহিদুল/রফিক