খুলনায় মরা গরুর মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ২, জরিমানা
Published: 12th, June 2025 GMT
খুলনায় বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার নগরীর গল্লামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিকআপ জব্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশের একটি টিম গল্লামারী এমএ বারী সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ বারী সড়কে প্রবেশ করলে সন্দেহবশত চালক মো.
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেওয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জনান, বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্ট্রোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়।’’
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবারাহ করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া মাংস পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে। বাকী অংশ আদালতের নির্দেশে ধব্বংস করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপর দিকে, খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত একজন পঁচা মাংস বিক্রেতাকে আটক করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই সঙ্গে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
নূরুজ্জামান//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন