মেয়েদের ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার হালনাগাদ করা ফিফা র‍্যাংকিংয়ে পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। ১৩৩তম স্থান থেকে এগিয়ে ১২৮তম স্থানে উঠে এসেছেন আফিদা খাতুনরা। 

২০১৯ সালের পর এটাই র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের র‍্যাংকিংয়ে সেরা অবস্থান। ছয় বছর আগে জুলাইয়ে ১৩০তম স্থানে ছিল বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা তিনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষেই আছে। পরের দুই ধাপে আছে স্পেন ও জার্মানির নারী ফুটবল দল। ব্রাজিল চার ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে।

মূলত জর্ডান সফরে পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সফরে স্বাগতিক জর্ডানের সঙ্গে ২–২ ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

যথাক্রমে ৩৯ ও ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানকে রুখে দেওয়ায় বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ১০৯২ থেকে বেড়ে ১০৯৯.

৩৬ হয়েছে। প্রভাব পড়েছে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডানের র‌্যাঙ্কিংয়েও। দুটি দলই এক ধাপ পিছিয়েছে, জর্ডান এখন ৭৫তম, ইন্দোনেশিয়া ৯৫তম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল ইন দ ন শ য়

এছাড়াও পড়ুন:

কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।

মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।

এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।

মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।

আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ