ঢাকায় আগামী মাসের ১১ জুলাই শুরু হবে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। উদ্বোধনী দিন বাংলাদেশের মেয়েরা শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। তবে শেষ সময়ে আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। 

সাফ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ফুটবল ফেডারেশন এই টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সাফকে জানিয়েছে। তবে কী কারণে তারা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে তা জানা যায়নি। 

ভারত না আসায় টুর্নামেন্টটি হবে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে নিয়ে। চার দল হওয়ায় টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলে একে অন্যের সঙ্গে দু’বার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। শীর্ষ পয়েন্টধারী দল পাবে শিরোপা। 

নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ভারত না আসায় ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। এর আগে টুর্নামেন্টটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। 

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) টুর্নামেন্টটি জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু মাঠ সংস্কারের কারণে টুর্নামেন্টটি বসুন্ধরা কিংসের ঘরের মাঠ কিংস অ্যারেনায় হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ফ চ য ম প য়নশ প

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ