কলম্বোর প্রেমদাসা বিমানবন্দর থেকে আমাদের উজিয়ে নিতে আসা ড্রাইভার ও গাইডের নাম ‘রয়’ শুনে ভাবি বাঙালি রায়গোষ্ঠীর কেউ একজন হবে নিশ্চয়ই। তাকে জিজ্ঞেস করার পর জানা গেল রায় পদবি সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই, এমনকি সত্যজিৎ রায়, অরুন্ধতী রায় তাদের নামও শোনেনি কখনও সে। তবে ছেলেটি খুব বিনয়ী ও ভদ্র। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যানবহুল ও জনবহুল রাস্তা একটি গর্বিত বাঁক নিয়ে আমাদের যখন সাউদার্ন এক্সপ্রেসওয়েতে তুলে দেয়, তখন আর চেনার উপায় থাকে না এটি আসলে কোন দেশ। কিছুদূর পর পর মাথার ওপর পেরিয়ে যাওয়া আড়াআড়ি সড়কের ওভার পাস দেখে এবং কোথাও একজনও পথচলতি মানুষ না দেখে আমেরিকান হাইওয়ের কথা মনে পড়ে যায়।
কলম্বো থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে গল পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। অনেক দোতলা বাংলোসহ গাছগাছালি ঘেরা আমাদের নির্দিষ্ট রিসোর্টটি নিরিবিলি। আমাদের পৌঁছে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় রয় জানিয়ে যায় তিমি দেখানোর জন্য পরদিন খুব ভোরে আমাদের ভারত মহাসাগরে নিয়ে যাবে। সমুদ্রভ্রমণ বলতে বঙ্গোপসাগরের ক্রুজ আর জাহাজভাঙা শিল্পের জন্য বিশাল বিদেশি জাহাজে চড়ে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি পর্যন্ত আমার দৌড়। মুম্বাইতে আরব সাগরের গাঘেঁষে পাঁচ বছর বাস করলেও কিংবা মালাক্কায় ‘নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে’ কিংবা ‘বাণিজ্য বায়ুর গল্পে .
যাত্রা শুরু করার আগে বোট যাত্রীবোঝাই হওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে করতে সূর্য ওঠে, ভোরের আলোয় ঝলমল করে ওঠে গায়ে গা লাগিয়ে বন্দরে নোঙর করা শত শত মাছ ধরা বোটের মাথায় ওড়ানো রঙবেরঙয়ের পতাকা। খাঁড়ির পাড়ের অনুচ্চ পাহাড়ের ওপর নারকেল গাছের সারির পাতায় লাগে সোনালি রোদের ছোঁয়া। যাত্রী ভর্তি হওয়ার পর আমাদের যাত্রা শুরু হতে হতে সকাল সাড়ে ৮টা। ততক্ষণে পাংক চেহারার সুঠামদেহী তরুণ কর্মীরা যাত্রীদের হাতে তুলে দিয়ে গেছে নাশতার প্যাকেট। পাউরুটি আর ডিমভাজির সাদামাটা ব্রেকফাস্ট। সেটিই সোনামুখ করে খেয়ে নিতে হয়। খাঁড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর শান্ত সমুদ্র দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি ভারত মহাসাগর। যাত্রীদের প্রত্যেকের চেয়ারের ওপর রাখা ছিল একটা করে লাইফ জ্যাকেট। অপরিষ্কার হালকা ভেজা জিনিসটাকে হেলাভরে রেখে দিয়েছিলাম পায়ের কাছে। কিন্তু বোটের ছেলেগুলো এসে মাস্তানের মতো ধমক দিয়ে সবাইকে সেই কমলা রঙের ভারী স্যাঁতসেঁতে জ্যাকেটগুলো গায়ে চড়াতে বাধ্য করে। প্লাস্টিকের আঁটোসাঁটো চেয়ারে এই জ্যাকেট পরে বসা যে কতখানি কষ্টকর সেটি অভিজ্ঞতা না থাকলে বর্ণনা করা কঠিন। বুঝতে পারি, বিমানে যেমন বাধ্যতামূলকভাবে সিটবেল্ট বাঁধতে হয়, এখানেও যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরানো ট্যুর অপারেটরদের জন্য সমুদ্রযাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আইনগত পূর্বশর্ত। এই মাঝ সমুদ্রে এসেও যে ট্যুর কোম্পানির লোকেরা আইন মানায় কড়াকড়ি করছে সেটি দেখে শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্য উপেক্ষা করে ভাবি, আমাদের দেশে কখনোই কি এরকম আইন মানার সংস্কৃতি চালু হবে?
গভীর সমুদ্রে ঢোকার পর আমাদের জলযানটি যখন ঢেউয়ের মাথা থেকে জলের খাদ পর্যন্ত চড়াই-উতরাই শুরু করে তখন সমুদ্রপীড়ায় আক্রান্তদের কাছে বমির থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্মীদের ছোটাছুটিও বেড়ে যায়।
ততক্ষণে ঘণ্টাদেড়েক কেটে গেছে। যাত্রী অনেকের অবস্থাই সঙ্গিন। সমুদ্রপীড়ার কথা এতদিন কেবল গল্প উপন্যাসেই পড়া ছিল। এবার সেই পীড়ার পরিণতি নিজ চোখে দেখা গেল। অবশ্য সেই পীড়া কোনোভাবেই পীড়িত করতে পারে না আমাকে। ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসে রেঙ্গুন যাত্রার বর্ণনায় শরৎচন্দ্রও মূল চরিত্রের জবানীতে লিখেছিলেন, ‘যাহাকে সমুদ্রপীড়া বলে, সে উপসর্গটা আমার বোধ করি ছেলেবেলায় নৌকার উপরেই কাটিয়া গিয়াছিল; সুতরাং বমি করার দায়টা আমি একেবারেই এড়াইয়া গিয়াছিলাম।’
কিন্তু শরৎবাবু বার্মাগামী জাহাজে সাইক্লোনে উত্তাল সমুদ্রে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন, তার তুলনায় তিমিদর্শনযাত্রায় পীড়িত যাত্রীদের এই অবস্থাকে দুর্দশা না বলে নিছক প্রমোদভ্রমণের বিপত্তি বলাই শ্রেয়। সেই সব সমুদ্রপীড়িত যাত্রীর কেউ এই লেখা পড়বেন না এ ভরসাতেই সাহস করে কথাটা লিখলাম। শ্রীকান্তের মতো আমার সেরকম নৌকা অভিযানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা না থাকলেও সমুদ্রপীড়ায় কাতর না হয়ে কখন তিমি কিংবা ডলফিন অথবা উড়ুক্কু মাছেরা দেখা দেয়– এই আশায় ক্যামেরা তাক করে বসেছিলাম আমি। এ সময় দূরে এক জায়গায় নিঃশ্বাস নিতে উঠে আসা তিমিদের নাকের গহ্বর থেকে উৎক্ষিপ্ত জলকণার ফোয়ারা দেখা গেলে যাত্রীরা সমস্বরে হই হই করে ওঠে। বাতাস থেকে অক্সিজেন নেওয়ার জন্য জলচর এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটির অতিসংক্ষিপ্ত উপস্থিতির প্রমাণ ছাড়া অথৈ মহাসাগরের দিগন্তহীন অনিশ্চিত যাত্রা তখনও নিষ্ফলা, কিন্তু একঝলক তিমির জলকেলি কিংবা পিঠ দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের চেয়ে শারীরিক স্বস্তি অনেক বেশি কাঙ্ক্ষিত বলে মহিলাদের কেউ কেউ বোটের ক্রুদের অনুনয়-বিনয় করছিল জাহাজ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। ওদের সাফ কথা, জনপ্রতি ২০ ডলার খরচ করে তিমি দর্শনে আসা সবাই যদি ফিরে যেতে চায় তাহলেই কেবল ফেরার প্রশ্ন ওঠে। এসময় অদূরে জনাদশেক শ্বেতাঙ্গ যাত্রী নিয়ে একখানা আস্ত বোট ঢেউয়ের ওপর নাচতে নাচতে এগিয়ে যাচ্ছিল। ওটা দেখিয়ে ওদের একজন বলে, দেখেন ওরা অনেক বড়লোক বলে পুরো বোট রিজার্ভ করে তিমি দেখতে যাচ্ছে, আর আপনারা চাইছেন ফিরে যেতে! বোটের সেই তরুণদের আচরণ ছিল উদ্ধত এবং অভদ্রজনোচিত। অদূরের সেই রিজার্ভ বোটটা যাত্রীস্বল্পতার কারণে হালকা বলে সেটির নাচ ছিল আরও উত্তাল। দূর থেকে সেই বোটের আছাড়ি-পিছাড়ি দেখে এবং বোটের তরুণ ক্রুদের দুর্ব্যবহারে আমাদের বোটের সমুদ্রপীড়ায় আক্রান্ত যাত্রীরা আরও অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে।
এক সময় এক তরঙ্গসংকুল জায়গায় গিয়ে বোট থেমে যায়। চারপাশে জলের আছাড়িপিছাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে ঢেউয়ের দোলায় দুলতে থাকা আরও গোটা চারেক বোট ছাড়া দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির দৃষ্টিসীমায় আর কিছু নেই। বোটের অভিজ্ঞ নাবিকেরা নিশ্চিত জানে এখানেই তিমির দেখা মিলবে, তাই গতিহীনভাবে জাহাজগুলোর স্রোতে ভেসে যাওয়া আটকে রেখে এখানেই অপেক্ষা করে ওরা। ইঞ্জিনের ভারী শব্দ স্তিমিত হয়ে এলে আমাদের সশব্দ যাত্রার মাঝে আচমকা নেমে আসে ঘূর্ণিঝড় আসার আগে যেমন চাপা উত্তেজনায় হঠাৎ করে চারপাশ শব্দহীন হয়ে যায়, ঠিক তেমন নিস্তব্ধতা। এভাবে ঢেউয়ের ওপর ওঠানামা করতে করতে কিছুসময় কেটে যায়। সবার দৃষ্টি ঘুরে বেড়াচ্ছে তরঙ্গায়িত সমুদ্রবক্ষে। কিছুক্ষণ পর আচমকা চীনা বা জাপানি কিংবা কোরীয় যাত্রীদের উত্তেজিত বিস্ময়ধ্বনি আর সম্মিলিত হুল্লোড়ে বোঝা যায় দর্শন দিচ্ছে তিমি। সত্যিই আমাদের বোটের খুব কাছে কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখা যায় তিমির কালো পিঠ, তারপর আমাদের পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে সেটি ডুব দেয় কাছাকাছি থাকা বোটের তলায়। তিমিরা নাকি অনায়াসে উল্টে ফেলতে পারে বড় বড় জাহাজ, পাশের বোটের তলায় ডুব দিতে দেখে নতুন আশঙ্কা এসে ভর করে কারও কারও মধ্যে। এতগুলো জাহাজ তামাশা দেখতে এসে ওদের রাজ্যে ঢুকে শান্তিভঙ্গ করছে বলে ওদের কেউ ক্ষেপে যাবে কিনা– এটাই ভয়।
তিমি দর্শনে যাওয়া বোটগুলোকেও আন্তর্জাতিক কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। শ্রীলঙ্কার কোস্টগার্ড বাহিনী নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ভেসে ওঠা তিমি থেকে কতখানি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, কীভাবে ওগুলোর কাছাকাছি যাওয়া যাবে, বোটের গতি কেমন রাখতে হবে– ইত্যাদি, যাতে তিমিদের রাজ্যে যান্ত্রিক জলযানগুলো কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত উপদ্রব হয়ে না দাঁড়ায়। কিন্তু মাত্র কয়েকটা তিমিকে ঘিরে বোটের যে ভিড় লেগে যায়, তাতে এই নিয়ম কতখানি মেনে চলা সম্ভব হয় সন্দেহ আছে। তিমির দেখা মিলতে মিলতে গোটা এলাকাটা তোলপাড় করে আমাদের কাছাকাছি এসে পড়েছে আধা ডজন বোট। জাহাজভর্তি উৎসাহী যাত্রীদের হুল্লোড়ে শান্তিতে তিমি দর্শনের উপায় থাকে না। তিমিদেরও কি শান্তি বিঘ্নিত হয় না?
এতগুলো বোটের ইঞ্জিনের গর্জন উপেক্ষা করে সেই তিমিটি কিংবা অন্য একটি আর একবার ভেসে ওঠে, প্রথমে দেখা যায় ওল্টানো নৌকার মতো কালো মসৃণ পিঠ, তারপর আরও খানিকটা জেগে উঠলে স্পষ্ট হয় তার ধারালো শিরদাঁড়া, দৃশ্যমান হয় মাছের ডরসাল ফিনের চেয়ে ছোট একটা পাখনা। এভাবে ভেসে থেকে কিছুদূর গিয়ে ডাইভ দিয়ে জলের গভীরে চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে দেখিয়ে যায় আগের কালের ভাইকার্স ভিসি ১০ প্লেনের (ম্যাকডোনেল ডগলাস কোম্পানির ডিসি ১০ নয়) টেইল উইংয়ের মতো লেজের দুটি পাখা। এতক্ষণ পিঠের দৃশ্য দেখে তৃপ্তি হচ্ছিল না, এবারে সুদৃশ্য লেজের দৃশ্য দেখা যায় স্পষ্ট, এমনকি প্রত্যক্ষ করা যায় সেই লেজ থেকে ঝরঝর করে গড়িয়ে পড়া জলের ধারাও। ক্যামেরা সর্বক্ষণ প্রস্তুত ছিল বলে দুর্লভ এই অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী দৃশ্য ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল।
তিমিটি কিংবা তিমিগুলো জলের নিচে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর আবার গর্জে ওঠে বোটগুলোর ইঞ্জিন, সব বোট মুখ ঘুরিয়ে ফিরে চলে মিরিসা বন্দরের দিকে। ফেরার পথে দেখা মেলে অত্যন্ত পলকা দেখতে জেলে নৌকাগুলোর, হাত নেড়ে সহর্ষে আমাদের অভিবাদন জানিয়ে যায় ওরা।
ফেরার পথে ভাবি, কয়েক সেকেন্ডের জন্য দেখতে পাওয়া তিমির লেজের দৃশ্য, নাকি ২০ ডলার এবং সমুদ্রপীড়ার জিল্লততি– কোনটির মূল্য বেশি, সে হিসাব মেলাতে মেলাতে আবার মিরিসা বন্দরে যখন ফিরে আসি তখন বেলা ২টা। জাহাজ মিরিসার খাঁড়িতে ঢোকার পর সাহস পেয়ে এক বিদেশীনি কঠোর ভাষায় ক্রুদের একজনকে আক্রমণ করে ওদের উদ্ধত আচরণের জন্য। সমুদ্রপীড়ায় কাতর মহিলাদের কেউ কেউ যখন জাহাজ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাকুতিমিনতি করছিল, তখন ওদের দেহভাষা এবং আচরণ ছিল সত্যিই রূঢ় ও নিষ্ঠুর, কিন্তু মাঝ দরিয়ায় নিজেদের অসহায়ত্বের কারণে সেসব সহ্য করা ছাড়া উপায় ছিল না। তীরের কাছাকাছি আসার পর ওদের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করার শক্তি ফিরে পায় সবাই। জাহাজের ছেলেটি অস্বীকার করলে আরও কয়েকজন প্রতিবাদকারী মহিলাকে সমর্থন করে। এবার ছেলেটি গুটিয়ে গিয়ে সমুদ্রের দিকে উদাস দৃষ্টি ফেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। আমাদের দেশ হলে এত সহজে ব্যাপারটা মিটে যেত না।
বোট থেকে নামার পর ঘাটে অপেক্ষারত রয় সহাস্যে জানতে চায় আমরা কেমন উপভোগ করেছি। তিমি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য একেবারেই নতুন হলেও সমুদ্রপীড়ার কষ্ট এবং ছয় ঘণ্টা মূল্যবান সময় নষ্ট হওয়ার জন্য ওকে মৃদু ভর্ৎসনা করলে মিন মিন করে ও বলে, আমি ভেবেছি আপনারা এনজয় করবেন। অন্যান্য দেশের বিদেশিরা তো গলে নেমেই হোয়েল ওয়াচিংয়ের বায়না ধরে। এখানে গোপনে জানিয়ে রাখি, আমি উপভোগ করেছি, তবে একথা যাত্রাসঙ্গীদের কাছে কখনোই স্বীকার করা যাবে না।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলা এবং তেহরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে জাহাজসহ সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন নৌবাহিনী ইউএসএস থমাস হাডনারকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে এবং দ্বিতীয় একটি ডেস্ট্রয়ারকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজন পড়লে দ্রুত যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেজন্য হোয়াইট হাউস এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানদের সাথে বৈঠক করছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার তেহরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এছাড়া ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায়ও হামলা হয়েছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী বাহিনীর প্রধান এবং দুজন পরামণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ইরান এই হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ