গোল করে দি মারিয়া কি বোকার কাছে ক্ষমা চাইলেন, যে ব্যাখ্যা দিলেন
Published: 17th, June 2025 GMT
সাধারণত অতীতে খেলে আসা ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে অনেক ফুটবলারই উদ্যাপন করেন না। একসময় যে ক্লাবের জার্সি পরে খেলেছেন, তাদের প্রতি এবং সেই ক্লাবের সমর্থকদের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়েই এই কাজটি করেন ফুটবলাররা। ফুটবল মাঠে এটা খুবই পরিচিত একটি দৃশ্য।
গতকাল রাতে বোকা জুনিয়র্সের সঙ্গে ২–২ গোলের ড্রয়ের পর সেই একই কাজ করেছেন বেনফিকার আর্জেন্টাইন উইঙ্গার আনহেল দিয়া মারিয়া। বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টিতে গোল করার পর চিরচেনা উদ্যাপন থেকে বিরত থাকেন দি মারিয়া। এমনকি হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিও করেন তিনি।
এই দৃশ্য দেখে তাৎক্ষণিকভাবে অনেকের মনে হতে পারে, অতীতে হয়তো বোকা জুনিয়র্সের হয়ে খেলার কারণেই উদ্যাপন করেননি দি মারিয়া। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দি মারিয়া কখনোই বোকার হয়ে খেলেননি। পুরো ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত একটি আর্জেন্টাইন ক্লাবেই খেলেছেন তিনি—রোজারিও সেন্ট্রাল। এই ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেই ফুটবলে হাতেখড়ি দি মারিয়ার।
আরও পড়ুনচেলসির ম্যাচে ৫০ হাজার আসন ফাঁকা, কেন এই দুরবস্থা ৩ ঘণ্টা আগে২০০৫ সালে ক্লাবটির হয়েই পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। ক্লাব বিশ্বকাপ শেষে বেনফিকা ছেড়ে সেই রোজারিও সেন্ট্রালেই ফিরে যাবেন দি মারিয়া। প্রশ্ন হচ্ছে, রোজারিও সেন্ট্রালই যদি আর্জেন্টিনায় দি মারিয়ার একমাত্র ঠিকানা হয়, তবে কেন তিনি বোকার বিপক্ষে গোল করে ক্ষমা চাইলেন? কিংবা আদৌ তিনি ক্ষমা চেয়েছেন কি না?
বোকা জুনিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচে দি মারিয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস