যশোরের কেশবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মনিরুল ইসলাম উপজেলার বরণডালি গ্রামের আলী বক্সের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মনিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের রেজা হাসান সবুজের অনুসারীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় মনিরুল ইসলাম ছাড়াও কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

আরো পড়ুন:

ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩

নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মনিরুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকল ১১টার দিতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কেশবপুর থানা পুলিশ বরণডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বলেন, “নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।” 

কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত ক শবপ র স ঘর ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ