যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩
Published: 18th, June 2025 GMT
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। বুধবার (১৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মনিরুল ইসলাম উপজেলার বরণডালি গ্রামের আলী বক্সের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মনিরুল ইসলাম ও একই গ্রামের রেজা হাসান সবুজের অনুসারীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় মনিরুল ইসলাম ছাড়াও কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আরো পড়ুন:
ভেড়ামারায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ–গুলি, আহত ৩
নরসিংদীতে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মনিরুলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকল ১১টার দিতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কেশবপুর থানা পুলিশ বরণডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন বলেন, “নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।”
কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত ক শবপ র স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) পুলিশ লাইনস্ ড্রিল শেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট ইনচার্জগণ ও ফোর্স সামষ্টিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয় সেসব সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে দুপুরে মে মাসের বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে “অপরাধ পর্যালোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ওয়ারেন্ট তামিল, অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ মোঃ ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বন্দর থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/মোঃ হুমায়ুন কবির, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এএসআই (নিঃ)/ আব্দুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সোনাগাঁও থানার এসআই (নিঃ)/ নাইমুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই (নিঃ)/ এসএম ইলিয়াস এবং শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মরত এসআই (নিঃ)/অংকুর কুমার ভট্টাচার্য-গনকে পুরস্কৃত করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মহোদয়। এছাড়া জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং জেলার সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।