ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত তিন তরুণের বাড়িতে শোকের মাতম, যা ঘটেছিল
Published: 20th, June 2025 GMT
একই গ্রামে বাড়ি তিন তরুণের। তিনজনই ছিলেন বন্ধু। কাজও করতেন একই কারখানায়। আর একসঙ্গেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তাঁদের এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামটিতে। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় এলাকায় আরশিনগর ফিউচার পার্ক বিনোদন কেন্দ্রের পেছনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হন ওই তিন তরুণ। তাঁদের বাড়ি উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায়।
 নিহত ব্যক্তিরা হলেন—দিদারুল আলমের ছেলে মো.                
      
				
মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকাটি ছোট ছোট টিলাবেষ্টিত। সেসব টিলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু শ্রমজীবী মানুষের বসতি। এ এলাকারই পাশাপাশি তিনটি বাড়ির বাসিন্দা আরাফাত, আনিস ও রিয়াজ। সবারই ঘর বেড়া আর টিনের ছাউনি দেওয়া।
আনিস বিয়ে করেছেন ২০ দিন আগেগতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিরসরাইয়ের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, তিনজনের বাড়িতেই শোকের মাতম চলছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. আনিস বিয়ে করেছেন মাত্র ২০ দিন আগে। আনিসের মৃত্যুর খবরে তাঁর ঘরে স্বজনেরা ছুটে এসেছেন। আহাজারি করতে করতে ঘরের ভেতর মূর্ছা গিয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বেশ কিছু নারী ও শিশু আর্তনাদ করে চলেছে। আনিসের বাবা আবু তাহেরকে দেখা যায় ঘরের এক কোণে বসে আছেন। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল তাঁর।
ছেলে আমার নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে মাত্র ২০ দিন আগে। এর মধ্যেই তার বউটা বিধবা হলো। আমি মেয়েটাকে কী বলে সান্ত্বনা দেব, আমার ছেলেটারেও তো আর পাব না।— আবু তাহের, নিহত মো. আনিসের বাবাছেলের কথা জিজ্ঞেস করতেই হু হু করে কেঁদে ওঠেন আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘ছেলে আমার নিজের পছন্দে বিয়ে করেছে মাত্র ২০ দিন আগে। এর মধ্যেই তার বউটা বিধবা হলো। আমি মেয়েটাকে কী বলে সান্ত্বনা দেব, আমার ছেলেটারেও তো আর পাব না।’
আরফাতের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তাঁর নানি বিবি আমেনা। জ্ঞান ফিরলেই চিৎকার করে কেবল বলছেন, ‘আমার সোনার চানরে কোথায় নিলা আল্লাহ।’ স্বজনেরা জানান, শৈশবেই আরাফাত মাকে হারান। মায়ের মৃত্যুর পর নানি বিবি আমেনা কোলে-পিঠে করে মানুষ করেছেন আরাফাতকে।
নিহত মো. রিয়াজ বাবা জিয়াউর রহমানের একমাত্র ছেলে। ছেলে চাকরি করে কিছুটা আয়রোজগার করায় বেশ সচ্ছলভাবে চলছিল সংসার। তবে গতকাল রাতের দুর্ঘটনা যেন সব এলোমেলো করে দিয়েছে। জিয়াউর রহমান আহাজারি করছিলেন, ‘আমার শান্ত ছেলেটারে কেন নিয়ে গেলা আল্লাহ।’
আহাজারি করতে করতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মো. আরাফাতের নানি বিবি আমেনা। স্বজনেরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গতকাল রাতে তোলাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ফ ত আহ জ র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিকুরের শততম টেস্ট, দল ঘোষণা
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় আলোচনা। মুশফিকুর রহিম ঘরের মাঠে শততম টেস্ট খেলবেন।
৯৮ টেস্ট খেলে মুশফিকুর এখন আছেন শীর্ষে। ১১ নভেম্বর সিলেটে প্রথম টেস্ট। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট ১৯ নভেম্বর। যে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে মুশফিকুর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক ছুঁবেন।
দুই টেস্ট সিরিজের দলে অনুমিতভাবেই আছেন মুশফিকুর। তাকে রেখেই মঙ্গলবার রাতে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন এনামুল হক বিজয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও নাঈম হাসান। স্কোয়াডে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে থাকা ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
এই সিরিজ দিয়ে আবার অধিনায়কত্বে ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান শান্ত। এবার তাকে আবার ফেরানো হয়েছে। থাকবেন ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
স্কোয়াডে তাইজুল ও মিরাজের সঙ্গে স্পিনার আছেন হাসান মুরাদ। বিপরীতে পেস বিভাগে রাখা হয়েছে ৪ জনকে। হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, ইবাদত হোসেন চৌধুরী ও হাসান মুরাদ।
ঢাকা/ইয়াসিন