চারপাশের গ্যাস দ্রুত গ্রাস করা গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘চা ১১০৭-৭৬২৬’ নামের দ্রুতগতির গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এর ভর বৃহস্পতি গ্রহের ভরের পাঁচ থেকে দশ গুণ বলে অনুমান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রহটি গ্যাস ও ধূলিকণার একটি পুরু স্তর দিয়ে আবৃত। দ্রুত বিবর্তনকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গ্রহটি। গ্রহটির পৃষ্ঠ প্রতি সেকেন্ডে ৬০০ কোটি টন গ্যাসের উপাদান গ্রহণ করছে। কয়েক মাস ধরে এই হার হঠাৎ বেড়ে গেছে। বিরল বিস্ফোরণে ঘটনা দেখা যাচ্ছে সেখানে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রহটির চুম্বকীয় আকর্ষণশক্তির কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

গ্রহটির চারপাশের ডিস্কে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি এত বেশি মাত্রায় শনাক্ত হয়েছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। সামগ্রিক তথ্য গ্রহটির গঠনের জটিল, গতিশীল প্রকৃতিকে তুলে ধরছে। গ্রহটির অস্বাভাবিক আচরণ নক্ষত্র ও গ্রহের মধ্যকার সম্পর্ককে চ্যালেঞ্জ করেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, কিছু বিপথগামী গ্রহ নক্ষত্রদের মতোই গঠিত হতে পারে। গ্রহটির আকস্মিক বৃদ্ধি প্রথমে ভেরি লার্জ টেলিস্কোপের এক্স-শুটার স্পেকট্রোগ্রাফের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। পরে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রহটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

বিপথগামী গ্রহের তীব্র রূপান্তর প্রমাণ করে, বিভিন্ন গ্রহ গঠনের প্রক্রিয়া পূর্বে ধারণার চেয়েও আরও বিশৃঙ্খল ও বিস্ফোরক হতে পারে। এমন তীব্র বিস্ফোরণ বিভিন্ন গ্রহের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে পারে আর তার চাঁদের গঠনের গতিপথও পরিবর্তন করতে পারে। আর তাই গ্রহ গঠনের বিদ্যমান তত্ত্বকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ রহট র গ রহ র গঠন র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ৩টি সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে ভারত

বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শিলিগুড়ি করিডরে ভারত নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে। সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য আসামের বামুনি (ধুবরির কাছে),বিহার বাংলা সীমান্তের কৃষাণগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকায় নতুন ঘাঁটিগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। 

পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স-এ এক পোস্টে জানায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সেখানে মোতায়েনকৃত সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালু করার জন্য তাদের অটল উদ্যম ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। তিনি সেনাদের সর্বোচ্চ কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় থাকারও নির্দেশ দেন।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গ্যাপগুলোর নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা উন্নত করার জন্য এই ঘাঁটিগুলো তৈরি করা হয়েছে। এই করিডর ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে, যা ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।

চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি এই করিডর হারিয়ে যায়, তবে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক করিডর, যেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন হলে খুব দ্রুত সময়ে সেনা মোতায়েন করা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সেনাকে খুব দ্রুত এখানে জড়ো করা সম্ভব।

পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত এই করিডরের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। 
 

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ