আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নীলফামারী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেলকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন একই আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী আল ফারুক আব্দুল লতিফ। 

নিজের ফেসবুক পোস্টে আল ফারুক আব্দুল লতিফ লিখেছেন, “বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেলকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি, আমরা এক প্রাণবন্ত নির্বাচনি মাঠের লড়াইয়ে নামব এবং আমাদের সংসদীয় আসনকে দেশের বুকে উদার, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক হিসেবে তুলে ধরতে পারব, ইনশাআল্লাহ।”

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.

লীগ নেতার স্লোগান 

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও এমন শুভেচ্ছা বার্তা দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নীলফামারীর ভোটার আহমেদ ইসলাম বলেন, “আমার জানামতে, এর আগে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক আচরণ দেখিনি। দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়েও একজন আরেকজনকে এভাবে অভিনন্দন জানানো সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

আল ফারুক আব্দুল লতিফ বলেন, “আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। যেই জয়লাভ করুক না কেন, নীলফামারীর উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”

ঢাকা/সিথুন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, “২০ কোটি টাকা না থাকলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। মানে বাংলাদেশের যে বর্তমান বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে কারোর আসলে নির্বাচন করা কঠিন।”

আরো পড়ুন:

যারা সংস্কারের বিপক্ষে, তাদের সঙ্গে এনসিপির জোট হবে না: হাসনাত

যারা বিএনপির মনোনয়ন পাননি তাদের এনসিপিতে স্বাগতম: হাসনাত 

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘নভেম্বর থেকে জুলাই: বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, “এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার। আপনি কারও থেকে টাকা নিয়ে যে নির্বাচন করবেন, নির্বাচিত হয়ে আসার পর আপনাকে তার স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকে যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বা অন্য কারোর কাছ থেকে টাকা নিয়ে আপনি ইলেকশন করেন, তাহলে আপনাকে তার স্বার্থ দেখতে হবে।”

আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমাদেরও বারবার চিন্তা করতে হয় যে ইলেকশন করব নাকি করব না। করলে কীভাবে করব; মানুষ কি টাকা ছাড়া ভোট দিবে বা বিদ্যমান যে কাঠামো, এই কাঠামোতে ইলেকশন করা আমাদের জন্য আসলে কতটুকু বাস্তবসম্মত। অনেকে জোহরান মামদানির কথা তুলে বলেন যে এমনটা সম্ভব। কিন্তু এটা এক্সেপশনাল কেস। এক্সেপশনাল কেস তো ৩০০ আসনে ঘটা সম্ভব না।”

সভায় কবি ফরহাদ মজহার বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নেই। নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণসার্বভৌমত্বের প্রয়োজন পড়ে; যার মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণ হয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ সঞ্চালিত এই গোলটেবিলে আরো বক্তব্য দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল হাসিনুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, পুসাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহমিদুর রহমান এবং অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ সজল।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ