ঢাকার আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অটোরিকশা চোর সন্দেহে এক নারীকে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ স্ট্যান্ড এলাকায় তাকে মারধর করা হয়।

নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে, এখন পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার ওই নারী বা তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ভিডিওতে দেখা গেছে, আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী বোরকা পরা এক নারীকে রাস্তায় ফেলে রশি দিয়ে হাত বেঁধে রেখেছেন এক ব্যক্তি। আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন ওই নারীকে ঘিরে রেখে প্রশ্ন করছিলেন, তিনি অটোরিকশা চোর কি না? নির্যাতনের শিকার নারী তখন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বারবার অনুনয় করছিলেন। একপর্যায়ে এক ব্যক্তি রশি ধরে টেনে-হিঁচড়ে তাকে পাশের একটি গলিতে নিয়ে যান। সেখানে লোকজন আবারও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই নারী জানান, পেটের দায়ে তিনি যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন, তবে চুরি করেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ধারণকারী স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, “সকালে আমি ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি, এক নারীকে কয়েকজন বেঁধে মারধর করছে। আমি তাদের নিষেধ করেছিলাম, কিন্তু কেউ শোনেনি। ভিডিও করে চলে আসি। পরে জানতে পারি, ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেছেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। তবে, স্থানীয়রা তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবু, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ভুক্তভোগী নারী ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা-৬: মনোনয়নবঞ্চিত ইয়াসিন সমর্থকদের ফের মশাল মিছিল-বিক্ষোভ

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ধর্মসাগরপাড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূবালী চত্বরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

আরো পড়ুন:

৩০০ আসনেই শাপলা কলি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনসিপি: নাহিদ

এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে

মিছিল ও সমাবেশে নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না মানব না’, ‘আমি কে তুমি কে, ইয়াছিন ভাই ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম কারাগারে, ইয়াছিন ভাই’, ‘কুমিল্লার ঘরে ঘরে, ইয়াছিন ভাই”, ‘নেতাকর্মীদের সুখে দুখে, ইয়াছিন ভাই’ এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নন। এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন।

সোমবার রাতেও কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন ইয়াসিনের অনুসারীরা। আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

স্থানীয় নেতাদের মতে, মনোনয়ন বিতর্ক ও ধারাবাহিক বিক্ষোভে কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে।

তবে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা, স্থানীয় সমন্বয় ও প্রার্থী নির্বাচনের ভারসাম্য মিললে অচিরেই দল অস্থিরতা কাটিয়ে শক্তিশালী নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে পারবে।

নেতাকর্মীরা জানান, হাজী ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ঢাকা/রুবেল/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ