মুশফিকের সেঞ্চুরি, আবার ৯০-এ আউট জিশান

সেঞ্চুরির উদ্‌যাপনটা একটু বুনোই হলো মুশফিকুর রহিমের। র‌্যাম্প শটে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চার মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছেই যেন ভেতরে জমে থাকা আগুনটা ছুড়ে দিলেন বাইরে। হাত তুলে আক্রমণাত্মক উদ্‌যাপন, তারপর বোলার এনামুল হকের দিকে আগুনঝরা দৃষ্টি! আগের দিন এনামুল কিছু বাউন্সার দিয়েছিলেন তাঁকে। সেগুলোর জবাবও যেন মাঠেই দিলেন মুশফিক।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শেষ দিন সকালে মুশফিক ছিলেন ৯৩ রানে, দল ৭ উইকেটে ২৬০। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিলেট হারাল নবম উইকেট—২৭১ রানে খালেদ আহমেদ আউট। তখন আশঙ্কা, সেঞ্চুরি হয়তো অধরাই থাকবে। শেষ ব্যাটসম্যান নাবিল সামাদও প্রায় আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ মুহূর্তে বল ছেড়ে বেঁচে যান তিনি। আর তাতেই সুযোগ মেলে মুশফিকের।

পরের ওভারে এনামুলের প্রথম বলে ডিফেন্স আর দ্বিতীয় বলেই র‌্যাম্প শট—চার। আর সেই চারেই প্রথম শ্রেণিতে মুশফিকের ১৯তম সেঞ্চুরি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের আগে এই ইনিংসটা তাঁর জন্য দারুণ প্রস্তুতি। পরে আরও ১৫ রান যোগ করে ২০৫ বলে ১১৫ রানে আউট হন মুশফিক। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কায়। দল অলআউট ২৯০ রানে।

সেঞ্চুরির পর মুশফিক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা-৬: মনোনয়নবঞ্চিত ইয়াসিন সমর্থকদের ফের মশাল মিছিল-বিক্ষোভ

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও সিটি করপোরেশন) আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়া হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ধর্মসাগরপাড়ের দলীয় কার্যালয় থেকে মশাল মিছিল বের করে নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূবালী চত্বরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।

আরো পড়ুন:

৩০০ আসনেই শাপলা কলি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এনসিপি: নাহিদ

এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে

মিছিল ও সমাবেশে নেতাকর্মীরা সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইয়াছিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ‘অবৈধ প্রার্থী মানি না মানব না’, ‘আমি কে তুমি কে, ইয়াছিন ভাই ইয়াছিন ভাই’, ‘জেল-জুলুম কারাগারে, ইয়াছিন ভাই’, ‘কুমিল্লার ঘরে ঘরে, ইয়াছিন ভাই”, ‘নেতাকর্মীদের সুখে দুখে, ইয়াছিন ভাই’ এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নন। এ কারণে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে দাবি করেছেন।

সোমবার রাতেও কান্দিরপাড় এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন ইয়াসিনের অনুসারীরা। আলেখারচর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

স্থানীয় নেতাদের মতে, মনোনয়ন বিতর্ক ও ধারাবাহিক বিক্ষোভে কুমিল্লা-৬ আসনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার দিকে যাচ্ছে।

তবে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা, স্থানীয় সমন্বয় ও প্রার্থী নির্বাচনের ভারসাম্য মিললে অচিরেই দল অস্থিরতা কাটিয়ে শক্তিশালী নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে পারবে।

নেতাকর্মীরা জানান, হাজী ইয়াছিন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ঢাকা/রুবেল/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ