মেহেরপুর-২ আসনে মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
Published: 4th, November 2025 GMT
মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মনোনয়নপ্রাপ্ত সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী আমজাদ হোসেন দলীয় নেতা–কর্মীদের নিয়ে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা আমজাদ হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা পাল্টা মিছিল বের করে জাভেদ মাসুদের কার্যালয়ে হামলা চালান। তাঁরা অফিসের আসবাব বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল গাড়ি এলাকায় পৌঁছালে নেতা–কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন ও জাভেদ মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা ২টার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেহেরপুরের দুটি আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের সমর্থকেরা গাংনী শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আমজ দ হ স ন ব এনপ র স স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
গণভোটের দাবি উপেক্ষা করলে জাতীয় নির্বাচন সংকটের মুখে পড়তে পারে: পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণভোটের দাবি কোনো রাজনৈতিক দলের চাপের মুখে উপেক্ষা করলে জাতীয় নির্বাচন সংকটের মুখে পড়তে পারে। অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে এবং গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্নীপাশা এলাকায় আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট নিরসনে পারস্পরিক আলোচনার প্রস্তাবকে জামায়াতে ইসলামী স্বাগত জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকারকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গণভোটের তফসিল ঘোষণা হওয়া জরুরি, এটিই হচ্ছে গণদাবি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে যেসব সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী দলগুলোর সেই সব বিষয়ে এখন ভিন্নমত পোষণ করা অথবা নোট অব ডিসেন্টকে গণভোটে যুক্ত করার দাবি হচ্ছে অন্যায় দাবি। এগুলো পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার স্বার্থে অবিলম্বে নোট অব ডিসেন্ট ছাড়াই গণভোটের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন এবং জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা জরুরি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। এ জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, গণহত্যাকারীদের বিচার, ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার পর নির্বাচন হলে তা সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘২৪-এর গণ-আন্দোলনের ছাত্র-জনতার যুদ্ধ ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। আর আমাদের দ্বিতীয় যুদ্ধ হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত রাষ্ট্রের দায়িত্ব পেলে প্রথম কাজ হবে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে এমন ব্যবস্থা চালু করা, যাতে সবার শিক্ষা নিশ্চিত হয়। দ্বিতীয় কাজ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন।’
৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি শেখ জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আজম, ফুলতলা উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুল আলীম মোল্লা, সেক্রেটারি সাইফুল হাসান, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি আলী আকবর, ফুলতলা থানা সভাপতি আবদুর রহীম প্রমুখ।