মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বিল্লাল হোসেন (৩০) নামের এক ট্রাকচালক নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ট্রাকচালকের সহকারী রতন মিয়া।

শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ৮টার দিকে মানিকগঞ্জ- সিংগাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কাশিমনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বিল্লাল হোসেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ভুলু মিয়ার ছেলে। 

সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে সিংগাইর উপজেলার কাশিমনগর এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই বাসে চাপা পড়ে মারা যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন এবং গুরুতর আহত হন তার সহকারী রতন। বিল্লালের মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ট্রাকচালকের সহকারী রতন মিয়া।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত

বাগেরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

তিনি আরো জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

ঢাকা/চন্দন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের মানববন্ধন

জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা–৩ ও সাতক্ষীরা–৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে শ্যামনগর চৌরাস্তা মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমান।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম। এ সময় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মইনুদ্দিন মাহমুদ, সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, প্রভাষক আবদুল হামিদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আসন পুনর্বিন্যাসের নামে শ্যামনগরবাসীর সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একত্র করে একটি আসন করার মাধ্যমে উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো হয়েছে। এই দুই উপজেলা বহু বদ্বীপ ও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা নিয়ে গঠিত। মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাপন দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে কাটে। ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই দুই উপজেলাকে এক আসনে অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত।

মানববন্ধনে দাবি জানানো হয়, শ্যামনগরকে আগের মতো একটি একক আসন হিসেবে অথবা কালীগঞ্জ ও শ্যামনগরকে একত্র করে আলাদা একটি আসন গঠনের। বক্তারা বলেন, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই প্রস্তাব অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসন পুনর্বিন্যাস করে গত ৩০ জুলাই প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা–৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের আটটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা–৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের দাবি, শ্যামনগর ও আশাশুনির মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই। শ্যামনগর থেকে আশাশুনি যেতে হয় কালীগঞ্জ উপজেলা হয়ে অথবা নৌপথে নদী পার হয়ে। অন্যদিকে সাতক্ষীরা–৩ আসনে আগে ছিল আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ। নতুন প্রস্তাবে কালীগঞ্জের ১২টি ইউনিয়ন ও দেবহাটার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা–৩ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আবদুর রহমান বলেন, শ্যামনগর বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা। অথচ একে পূর্ণাঙ্গ সংসদীয় আসন না দিয়ে বিভক্ত করা হয়েছে, যা জনগণের রাজনৈতিক অধিকার খর্বের শামিল। তিনি সরকারের এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং আগের মতো সাতক্ষীরার পাঁচটি আসন পুনর্বহালের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের মানববন্ধন