রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর শর্তে সংশোধন আনা হয়েছে। গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। এতে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের শর্তাবলি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।

গত ২১ মে সমকালে ‘ডিনের ভাইকে নিয়োগ দিতে শর্ত পরিবর্তন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে এলে প্রশাসন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভাগটিতে তত্ত্বীয় বিষয়ের জন্য দু’জন এবং ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। এ জন্য যে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তা বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ, রাবির চারুকলা অনুষদের সব বিভাগে এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে।

তত্ত্বীয় বিষয়ে যে দু’জন শিক্ষক নেওয়া হবে, তাদের শিল্পকলার ইতিহাস বিষয়ের ওপর দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন, এ শর্ত নির্দিষ্ট একজন প্রার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।

বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনায় আসে। গত ১৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘তত্ত্বীয় বিষয়ের জন্য চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহের যে কোনও একটি ডিসিপ্লিন থেকে চার বছর মেয়াদী বিএফএ অনার্স ও শিল্পকলার ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।’ 

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্সের শর্তটি তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘নিয়োগের শর্তের বিষয়টি বিভাগ থেকে ঠিক করা হয়েছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করি। নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমরা বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করেছি।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য প রক শ চ র কল বছর ম

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ