আওয়ামী লীগ হযবরল কার্যক্রম চালিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া
Published: 21st, June 2025 GMT
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছরে হযবরল কার্যক্রম চালিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
আজ শনিবার দুপুরে কুমিল্লার হোমনা উপজেলা সদরের রেহানা মজিদ মহিলা কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়, কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গুণগত শিক্ষা না পেলে সেই শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। এখন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। তাহলে এই শিক্ষার মূল্য কী? সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সুযোগ না পেলে পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এর মাশুল দিচ্ছে আমাদের সন্তানেরা।’
নির্বাচনে শিক্ষকসমাজের ভূমিকা প্রসঙ্গে সেলিম ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষকদের সৎ ও নিরপেক্ষভাবে প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে হবে। অতীতে বিতর্কিত নির্বাচনে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি। বরং আওয়ামী লীগ শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়ে তাঁদের বিতর্কিত করেছে। শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর, কোনো দলের পক্ষ নিয়ে দায়িত্ব পালন করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ। এখন থেকেই নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। নারীশিক্ষার প্রসারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান উল্লেখযোগ্য। আজ যেসব ছাত্রী এখানে উপস্থিত, তোমরাও একদিন দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিতে পারো।’
অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের খালেদা জিয়ার জীবনীভিত্তিক বই ‘নন্দিত নেত্রী খালেদা জিয়া: সংগ্রামমুখর জীবনালেখ্য’ উপহার দেন সেলিম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘তোমরা খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে লেখা বইটি পড়বে। তোমরা ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদ হতে চাইলে খালেদা জিয়াকে অনুসরণ করবে। তোমরাও একসময় যেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারো, সেভাবে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলো।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
থানায় প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা: রাজশাহীতে এইচএসসির একটি প্রশ্নপত্র বাতিল, দুই পুলিশকে প্রত্যাহার
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, থানার ভল্ট বা মালখানায় প্রশ্নপত্র সংরক্ষণের কথা। কিন্তু সেগুলো হাজতে রাখা এবং সেখানে আসামি থাকার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ঘটনার পরপরই থানা–হাজতের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে ধামইরহাট থানার হাজতে থাকা এক আসামি ট্রাংকের সিলগালা উঠিয়ে তালা খুলে ফেলেন। এরপর ট্রাংকের ভেতরে থাকা প্যাকেটবন্দী প্রশ্নপত্র বের করে সেগুলো ছড়িয়ে ফেলেন এবং কয়েকটি ছিঁড়ে ফেলেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার বলেন, প্রশ্নপত্রের ট্রাংক সিলগালা ও তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। আসামির এক হাতে হাতকড়া থাকলেও অন্য হাত খোলা ছিল। তিনি নখ দিয়ে সিলগালা খুলে ফেলেন এবং তালা খোলেন। এরপর প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে রাখেন এবং কিছু ছিঁড়ে ফেলেন। সিসিটিভি ফুটেজে এসব দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন জানান, ওই প্যাকেটে ৫০টি প্রশ্নপত্র ছিল। সব কটিই উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকটি ছেঁড়া থাকলেও কোনো প্রশ্নপত্র হারায়নি।
আরও পড়ুননওগাঁয় থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‘ফাঁস’, তদন্ত কমিটি গঠন১৬ ঘণ্টা আগেঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি দল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এই ঘটনায় সরকারি সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগে ওই আসামির বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী বোর্ড জানিয়েছে, আগামী ১৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাটি বিভাগের আট জেলায় বিকল্প প্রশ্নপত্রে নেওয়া হবে। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন।