বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা বাস্তবায়নে হবিগঞ্জের মাধবপুরে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে মাধবপুর হোটেল হাইওয়ে কনভেনশন সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামসুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বাবুলের যৌথ পরিচালনায় এ সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি সৈয়দ মো.

ফয়সল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি সৈয়দ মো. শাহজাহান, সায়হাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. ঈশতিয়াক আহমেদ, শিল্পপতি সৈয়দ মো. হুমায়ূন, প্রকৌশলী সৈয়দ মো. সেলিম।

সৈয়দ মো. ফয়সল বলেন, বিগত ১৬ বছর আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। বিএনপি এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা জেল-জুলুম-হুলিয়া মাথায় নিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধ লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় জুন-জুলাইয়ে আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে বিএনপি দেশের মানুষের সমর্থনে সরকার গঠন করবে ইনশাল্লাহ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা জাতির সামনে পেশ করেছেন। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে মোরগের ডাকে শুনে দরজা খোলেন, এরপর কুপিয়ে হত্যা

রাতের আহার সেরে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ঘরের বাসিন্দারা। গভীর রাতে হঠাৎ ঘরের উঠানে মোরগের ডাক শোনেন। কেউ হয়তো মুরগি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন কিংবা মুরগির খোপে শিয়াল ঢুকেছে ভেবে খোলা হয় ঘরের দরজা। মুহূর্তেই ৭-৮ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েন ঘরে। এরপর ঘরের ভেতরেই কুপিয়ে হত্যা করেন এক ব্যক্তিকে। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সেগুনবাগিচা এলাকায়।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৪৫)। তিনি উপজেলার মাঝেরঘোনা এলাকার নুর আহমদের ছেলে। তবে প্রায় এক যুগ ধরে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছেন।

এই হত্যার ঘটনাটিতে পুলিশ আজ রোববার সকালে দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন—শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সাপেরগাড়া এলাকার মনছুর আলম (৪৫) ও জকিরুল ইসলাম (৫৫)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনের কানে, ঘাড়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনার সময় ঘরে থাকা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁর জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। এরপর প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের ভেতর জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

নিহত জসিমের স্ত্রী সেলিনা আকতার বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্রের সঙ্গে মোরগটি নিয়ে এসেছিলেন। মোরগ ডাকার শব্দে তিনি ভেবেছিলেন কেউ খোপ থেকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছেন। তাই ঘরের দরজা খোলেন। তবে দরজা খুলতেই ঘরে ঢুকে ৭-৮ জন ব্যক্তি তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, তাঁর একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ওই ছেলের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে ওই তরুণী সম্প্রতি ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ওই তরুণীর পরিবার তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। একই ঘটনার জেরে তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

স্থানীয় শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহমদ শফি বলেন, বসতঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি দল। তারা লাশটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ