বন্দরে বাসা থেকে বের হয়ে শরিফুল মাওলা (৪০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজের ভাগিনা বিপ্লব বাদী হয়ে রোববার (২৩ জুন) দুপুরে নিখোঁজের সাবেক স্ত্রীকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানীস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্য  বের হয়ে ওই গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ হয়।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকার জহির উদ্দিন মিয়ার মেয়ে শিল্পী বেগম নিখোঁজ শরিফুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী। পারিবারিক কলহের কারনে গত ২০২৪ ইং সালের ৩ অক্টোবর শিল্পী বেগমকে তালাক প্রদান করে নিখোঁজ শরিফুল মাওলা ।

এর জের ধরে গত ২০২৫ ইং সালের ১৬ জানুয়ারি  রাত  ১২টায় ১নং বিবাদী সহ তার সহযোগী অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন অভিযোগের বাদী মামা শরিফুল মাওলাকে  অপহরণ করে মারপিট করে নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।  এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার  বিকাল ৫টায় অভিযোগের বাদীর মামা শরিফুল মাওলা তার নিজ বাসা বন্দর থানাধীন একরামপুর ইস্পাহানী হইতে বাজারের উদ্দেশ্য বের হয়ে গত ৩ দিনেও বাড়িতে ফিরে আসেনি।

অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজ শরিফুল মাওলার কোন হদিস না পেয়ে এ ঘটনায় নিখোঁজের ভাগ্নিা বাদী হয়ে সাবেক মামী শিল্পী বেগমের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

নিখোঁজের পরিবারের দাবি শরিফুল মাওলাকে অপহরন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি তদন্তসহ নিখোঁজ শরিফুল মাওলাকে সন্ধান পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম হীরা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা

গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে হীরা তৈরি করেছেন চীনের সেন্টার ফর হাই-প্রেশার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অ্যাডভান্সড রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। উল্কাপিণ্ডে থাকা বিভিন্ন উপাদান সফলভাবে কাজে লাগিয়ে ষড়্‌ভুজাকার হীরা তৈরি করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কৃত্রিমভাবে তৈরি হীরাটি প্রকৃতিতে পাওয়া যেকোনো বস্তুর চেয়ে শক্ত। বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণার তথ্যমতে, বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রা, উচ্চ চাপ ও আধা হাইড্রোস্ট্যাটিক পরিস্থিতিতে উল্কাপিণ্ডে থাকা গ্রাফাইটকে ষড়্‌ভুজাকার হীরাতে রূপান্তর করেছেন। এই স্ফটিক কাঠামো প্রচলিত প্রাকৃতিক হীরার চেয়ে শক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক হীরা শক্ত হলেও কিছুটা দুর্বলতা থাকে। তবে ষড়্‌ভুজাকার হীরা বা লন্সডেলাইট আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বিন্যাস নিয়ে গঠিত।

বিজ্ঞানী ইয়াং লিউশিয়াং বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে হীরা তৈরিতে দীর্ঘস্থায়ী চ্যালেঞ্জের সমাধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতের উপাদান উদ্ভাবনের জন্য একটি পদ্ধতিগত ভিত্তি স্থাপন করেছি আমরা। অপর বিজ্ঞানী হো-কোয়াং মাও এই অর্জনকে পরবর্তী প্রজন্মের অতি কঠিন উপকরণ ও উন্নত ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিকাশের জন্য একটি নতুন পথ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, কাঁচামাল হিসেবে অতি বিশুদ্ধ, অপরিষ্কার–মুক্ত প্রাকৃতিক গ্রাফাইট ষড়্‌ভুজাকার হীরার নমুনা তৈরিতে সহায়তা করেছে। পুরো প্রক্রিয়া সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

১০০ মাইক্রন স্কেলে পরীক্ষাগারে ষড়্‌ভুজাকার হীরা তৈরি করা হয়েছে। উল্কাপিণ্ডে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এই বিরল হীরা তৈরির মাধ্যমে অতি কঠিন পদার্থের সন্ধানে এগিয়ে গেলেন চীনের বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতে পরীক্ষাগারে নতুন পদার্থ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ