বন্দরে গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ, সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
Published: 23rd, June 2025 GMT
বন্দরে বাসা থেকে বের হয়ে শরিফুল মাওলা (৪০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মী গত ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজের ভাগিনা বিপ্লব বাদী হয়ে রোববার (২৩ জুন) দুপুরে নিখোঁজের সাবেক স্ত্রীকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে বন্দর থানার একরামপুর ইস্পাহানীস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্য বের হয়ে ওই গার্মেন্টস কর্মী নিখোঁজ হয়।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকার জহির উদ্দিন মিয়ার মেয়ে শিল্পী বেগম নিখোঁজ শরিফুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী। পারিবারিক কলহের কারনে গত ২০২৪ ইং সালের ৩ অক্টোবর শিল্পী বেগমকে তালাক প্রদান করে নিখোঁজ শরিফুল মাওলা ।
এর জের ধরে গত ২০২৫ ইং সালের ১৬ জানুয়ারি রাত ১২টায় ১নং বিবাদী সহ তার সহযোগী অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন অভিযোগের বাদী মামা শরিফুল মাওলাকে অপহরণ করে মারপিট করে নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় অভিযোগের বাদীর মামা শরিফুল মাওলা তার নিজ বাসা বন্দর থানাধীন একরামপুর ইস্পাহানী হইতে বাজারের উদ্দেশ্য বের হয়ে গত ৩ দিনেও বাড়িতে ফিরে আসেনি।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজ শরিফুল মাওলার কোন হদিস না পেয়ে এ ঘটনায় নিখোঁজের ভাগ্নিা বাদী হয়ে সাবেক মামী শিল্পী বেগমের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
নিখোঁজের পরিবারের দাবি শরিফুল মাওলাকে অপহরন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগটি তদন্তসহ নিখোঁজ শরিফুল মাওলাকে সন্ধান পাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র ম ন টস
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনের ঘটনা নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে: ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে নগর ভবনে যা হচ্ছে তা ‘মূল্যায়ন অযোগ্য’ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কোটি মানুষের সেবাদাতা নগর ভবন দিনের পর দিন তালাবদ্ধ করা ও থাকতে দেওয়ার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। রাজনীতি ও পদবির জন্য প্রতিষ্ঠান ও জনতাকে এভাবে জিম্মি করার ঘটনা একটি নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে সরকারি চাকরিজীবীদের অনেক ক্ষেত্রেই সীমিত মাত্রায় অবস্থান করতে হয়। একজন সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না, দলীয় রাজনীতি করতে পারেন না। একইভাবে তাঁরা কোনো দাবি আদায়ে বিক্ষোভ বা অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীদের কর্মবিরতির বিষয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ফলাফলনির্ভর। এই মৌলিক নীতিকে সামনে রেখে চাকরিবিধি সংস্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে জিডিপি-কর অনুপাত খুবই খারাপ অবস্থায়। সেটা উন্নত করার জন্য রাজস্ব খাতের সংস্কার অপরিহার্য ছিল। সংস্কারে কারও কারও দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু কর্মবিরতি দিয়ে জনগণকে জিম্মি করা কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সামগ্রিক সংস্কারের অংশ হিসেবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় ও সরকারি চাকরিবিধিতে সংস্কার আনা হয়েছে। যেকোনো পরিবর্তন একধরনের অস্থিরতা তৈরি করে। সেই অস্থিরতা দূর করার জন্য আলোচনাই উত্তম পন্থা। কিন্তু রাজস্ব খাতের সংস্কার ও চাকরিবিধির পরে রাজস্ব খাত ও সচিবালয়সহ সরকারি অফিসে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। একটি আধুনিক ও কার্যকর রাষ্ট্রে জনপ্রশাসনে এমন অচলাবস্থা রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করুন। যৌক্তিক কোনো বিষয় থাকলে তা আমলে নিন। অযৌক্তিক কোনো কিছু নিয়ে কেউ গোঁ ধরলে তাঁকে আইনের আওতায় আনুন। কিন্তু জনগণের টাকায় বেতন নেবেন, কিন্তু তাঁদের সেবা না দিয়ে অযৌক্তিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’