‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, “বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্প্রতি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক।”

‎সোমবার (২৩ জুন) সকালে ‘আউটকাম-বেসড এডুকেশন: এ পাথওয়ে টু অ্যাক্রিডিটেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেরোবির একাডেমিক ভবন-৩ এর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ক্লাসরুমে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।‎

উপাচার্য বলেন, “ওবিই একটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পদ্ধতি, যেখানে শিক্ষার্থীরা শেখার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সবসময় নতুন কিছু জানতে চায়। এজন্য শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আপডেটেড হতে হবে।”

আরো পড়ুন:

শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ

৮ ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় মধুর ক্যান্টিন

উপাচার্য আরো বলেন, “ওবিই কারিকুলাম বাস্তবায়ন অ্যাক্রিডিটেশন অর্জনের জন্য অপরিহার্য। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রোগ্রামের মান নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হতে সাহায্য করে। খুব শীঘ্রই বেরোবিতেও ওবিই কারিকুলাম বাস্তবায়ন হবে।”

‎কর্মশালায় বেরোবির আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ‘আউটকাম বেসড এডুকেশন’ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশ ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (এআইইউবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম রহমতুল্লাহ।

এ সময় বেরোবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং ড. মো. আব্দুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ‍মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান। 

তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া

বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত

ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।

তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।

দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।

অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ