উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে ওবিই কারিকুলাম অপরিহার্য: বেরোবি উপাচার্য
Published: 23rd, June 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, “বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্প্রতি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক।”
সোমবার (২৩ জুন) সকালে ‘আউটকাম-বেসড এডুকেশন: এ পাথওয়ে টু অ্যাক্রিডিটেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেরোবির একাডেমিক ভবন-৩ এর ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ক্লাসরুমে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
উপাচার্য বলেন, “ওবিই একটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পদ্ধতি, যেখানে শিক্ষার্থীরা শেখার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সবসময় নতুন কিছু জানতে চায়। এজন্য শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আপডেটেড হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
শাবিপ্রবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ঝুঁকিতে ৯৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
৮ ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় মধুর ক্যান্টিন
উপাচার্য আরো বলেন, “ওবিই কারিকুলাম বাস্তবায়ন অ্যাক্রিডিটেশন অর্জনের জন্য অপরিহার্য। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রোগ্রামের মান নিশ্চিত করতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হতে সাহায্য করে। খুব শীঘ্রই বেরোবিতেও ওবিই কারিকুলাম বাস্তবায়ন হবে।”
কর্মশালায় বেরোবির আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড.
এ সময় বেরোবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আব্দুল লতিফ এবং ড. মো. আব্দুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার উপাদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া মিজানুর রহমান ওই এলাকার মৃত শিক্ষক আবদুর রহিমের মেজ ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা মিজানুর মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে মিজানুর রহমান বাড়ির পাশে একটি বিলে শাপলা তুলতে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর হদিস পাননি। এরপর খুঁজতে খুঁজতে গতকাল রাত ৯টায় ওই বিলের পানিতে তাঁর ভাসমান মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। পরে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মিজানুর রহমানের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ভাই মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব সহজ-সরল স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। সাঁতার জানতেন না। ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকাহত।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।