পদোন্নতি-বদলিতে দুর্নীতি করলে ‘লাইফ হেল’ করে দেওয়া হবে: কৃষি সচিব
Published: 26th, June 2025 GMT
কৃষিখাতে পদোন্নতি বা বদলিতে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি বলেছেন, পোস্টিং বা পদোন্নতিতে কেউ টাকা-পয়সা লেনদেন করলে তার লাইফ হেল করে দেওয়া হবে। এসব কাজ হতে হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধনী)’ জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো.
প্রকল্প পরিচালক জানান, এ প্রকল্পের কারণে এক দশকে দেশে ফলের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। বর্তমানে ড্রাগন ফলের উৎপাদন ৬৮ হাজার ৮৬৩ মেট্রিক টন। আপেল আমদানিও কমেছে। ইতোমধ্যে ৯ হাজার বাণিজ্যিক ফল বাগান গড়ে উঠেছে এবং ২৮ হাজার ৫০০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১৪টি হর্টিকালচার সেন্টারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আগে যেখানে বছরে দেড় কোটি চারা উৎপাদন হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটিতে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদন ও রোপণ বন্ধের বিষয়ে কৃষি সচিব বলেন, দেশে এখনো ২ কোটি ৫০ লাখ চারা রয়েছে। এগুলো নার্সারি থেকে কিনে মেরে ফেলতে হবে।
কৃষি সচিব বলেন, প্রত্যেক ক্যাডারের প্রশিক্ষণ থাকলেও কৃষিতে নেই। আমরা রপ্তানি বাড়াতে বলছি, অথচ অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা উপেক্ষিত। প্রকল্প থাকুক আর না থাকুক, চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিডি, পিডি বা উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়োগে পোল করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাদের ভালো পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।