গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে পূবালী ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা অনুদান
Published: 27th, June 2025 GMT
পূবালী ব্যাংক পিএলসি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী অনুদানের পেমেন্ট অর্ডার বা চেক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান শিরীন পারভিন হকের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইছা, আহমেদ এনায়েত মনজুরসহ কর্মকর্তারা; গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক (অর্থ) মনিকা রানী সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ১৯৭২ সাল থেকে একটি জনহিতকর ট্রাস্ট হিসেবে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য উন্নত মানের সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে। ‘গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টার’ দেশের অন্যতম কিডনি চিকিৎসাকেন্দ্র, যেখানে প্রতিদিন ২৫০-২৭০ রোগী সেবা গ্রহণ করেন। কেন্দ্রটি ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন, ৪ শিফটে সেবা দিয়ে আসছে।
পূবালী ব্যাংক দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যার ৫০৯টি শাখা ও ২৩৫টি উপশাখা রয়েছে। এই ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক খাতের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা কেবল আর্থিক খাতে নয়, সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডেও নিজেদের সম্পৃক্ত রাখায় বিশ্বাস করি। স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার এবং এই খাতে অবদান রাখতে পারা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণস ব স থ য ক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বিবিসির বিশ্লেষণ: শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় কেন ভারতকে বিব্রত করবে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ভারতকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিবিসির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স রিপোর্টার অ্যানবারাসান ইথিরাজান।
তিনি লিখেছেন, এখন আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাসিনাকে ফেরানোর জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ পাঠাবে। ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছাড়ার পর থেকে তিনি ভারতে বসবাস করছেন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া
বিচার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিকমানের, প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই: জামায়াত
ঢাকার আগের দাবিগুলোর জবাব ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়নি। দুই দেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে।
তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি মনে হয় হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা সৎউদ্দেশ্যে করা হয়নি, তাহলে ভারত সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে তিনি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। ভারতে তাকে ফেরত না পাঠানোর ব্যাপারে দেশটির সর্বদলীয় রাজনৈতিক পর্যায়েও এক ধরনের ঐকমত্য রয়েছে।
দিল্লির কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী নয়, এটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য।
অ্যানবারাসান ইথিরাজান লিখেছেন, ভারত যেন টানটান করে বাঁধা দড়ির ওপর হাঁটছে; কারণ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করলে তা কূটনৈতিক অবজ্ঞা হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরো খারাপ করতে পারে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।
ঢাকা/রাসেল