রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের লক্ষণদীয়া গ্রামে পুলিশের উপপরিদর্শক রামপ্রসাদ সরকারের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই বাড়িতে রামপ্রসাদের বাবা ও মা ছিলেন। তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
রামপ্রসাদ সরকারের মা মিনা রানী সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ১০-১২ জন ডাকাত দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাত দল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।