রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের লক্ষণদীয়া গ্রামে পুলিশের উপপরিদর্শক রামপ্রসাদ সরকারের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই বাড়িতে রামপ্রসাদের বাবা ও মা ছিলেন। তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।

রামপ্রসাদ সরকারের মা মিনা রানী সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ১০-১২ জন ডাকাত দরজা ভেঙে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাত দল ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের

প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের