বিধিনিষেধে ফেসবুক গ্রুপ যা জানা প্রয়োজন
Published: 29th, June 2025 GMT
সারাবিশ্বের কয়েকটি দেশের হাজারো ফেসবুক গ্রুপকে আগাম নির্দেশনা ছাড়াই বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। কয়েক হাজার ফেসবুক গ্রুপের সব ধরনের কাজ বন্ধ হওয়ায় গ্রুপ সদস্য ও প্রশাসকরা পড়েছেন উৎকণ্ঠায়। বিধিনিষেধে পড়া অনেক ফেসবুক গ্রুপ প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাস আর নগ্নতাসংশ্লিষ্ট কনটেন্ট প্রচারের কারণ দেখিয়ে ওই সব গ্রুপের পরিচালনা আপাতত বন্ধ রয়েছে। মেটা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানত কারিগরি ত্রুটির কারণে ফেসবুক গ্রুপগুলো বিধিনিষেধের মধ্যে পড়েছে।
জানানো হয়, মেটার ডেভেলপ টিম দ্রুত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে।
অ্যালগরিদমে কারিগরি ত্রুটির নেপথ্যে কেনাকাটায় মূল্যছাড়ের খোঁজখবর, বাবা-মাকে সহায়তা, বিশেষ কি-বোর্ড, পোষা প্রাণীর যত্ন, গেমিং, পোকেমন বা ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে কাজ করা গ্রুপ মূলত নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
কারিগরি ত্রুটির ব্যাখ্যায় কর্তৃপক্ষ বলছে, ত্রুটির ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। যা কিছু ফেসবুক গ্রুপকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে আমরা সব সময় সক্রিয়। সমস্যার দ্রুত সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছি।
সাময়িক ত্রুটির কারণে কিছুসংখ্যক গ্রুপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এটি সত্য।
বিষয়টি ফেসবুকের স্বনিয়ন্ত্রিত মডারেশন পদ্ধতির সঙ্গে কতটুকু সাংঘর্ষিক ছিল, তা পরে জানানো হবে। যেন অন্যসব গ্রুপ এ বিষয়ে সতর্ক হতে পারে। বিধিনিষেধে পড়া কয়েকটি গ্রুপের প্রশাসকরা বলছেন, হুট করে পরিচালিত তাদের সব গ্রুপকে আগাম সতর্ক না করেই নিষিদ্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অনেকে বলছেন, সন্ত্রাসজনিত কোনো কনটেন্ট না হওয়া সত্ত্বেও তাদের গ্রুপে সন্ত্রাস বা বিপজ্জনক সংগঠনের প্রচারে যুক্ত থাকায় তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। আবার অনেকে বলেছেন, তারা ভেরিফায়েড সাবস্ক্রিপশন কেনার কারণে প্রায়োরিটি গ্রাহক হিসেবে সহায়তা পেয়েছেন। সাময়িক বন্ধ থাকার পর কিছু গ্রুপ আবার সচল হয়েছে। সতর্কবার্তা ছাড়াই হুট করে হাজারো ফেসবুক গ্রুপ বিধিনিষেধের আওতায় পড়লে অনেকের ব্যবসা ও পরিষেবা ক্ষতির মধ্যে পড়ে।
ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী কয়েক হাজার ফেসবুক প্রশাসক আইনি লড়াইয়ের জন্য একযোগে পিটিশন করেছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ সব ক ফ সব ক গ র প
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট