সমকালের বিনোদন পাতায় রোববার প্রকাশিত ‘চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে তামাশা!’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। 

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যারা অনুদান দেবেন, তারাই এবার নিয়েছেন অনুদান।’ অনুদান কমিটির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লিখিত বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ মেনেই অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে গঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন যাচাই-বাছাইপূর্বক সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে।’’ 

এতে আরও বলা হয়, ‘‘এই দুই কমিটি ছিল ১১ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ পাঁচজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত গল্প/চিত্রনাট্য এবং আবেদন অনুদান কমিটি মূল্যায়ন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদান প্রদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচনের লক্ষ্যে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটি ছিল ৯ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ চারজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কমিটির প্রত্যেক সদস্য অনুদানের জন্য আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের গল্প/চিত্রনাট্য মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে নম্বর প্রদান করেছেন। কমিটির সব সদস্যের মূল্যায়নকৃত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়। অনুদান কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করেছে।’’

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো.

আবিদ মল্লিক চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটির সদস্য।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫-এ ‘চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটি’ নামে কোনো কমিটি নেই। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় সংস্কারে সার্চ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ বিষয়টিতে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।’’ 

‘‘চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং চলচ্চিত্র অনুদান স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া খালিদ রীতি (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, সাদিয়া খালিদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটিতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য। তার ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো কমিটির সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না—এমন কোনো বিষয় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’-এর কোথাও উল্লেখ নেই।’ সংবাদে অন্য যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোও ভিত্তিহীন।’’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগকারী অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। তবে প্রতিবেদনে সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো. আবিদ মল্লিককে চলচ্চিত্র ‘অনুদান উপকমিটির সদস্য’ বলা হয়েছে, যা সঠিক ছিল না।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট র সদস য চলচ চ ত র র র অন দ ন কম ট র স উল ল খ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলেদের পড়াশোনা করাতে কী কষ্টটাই না করেছেন এই মা, পেয়েছেন সরকারের শ্রেষ্ঠ সফল জননীর সম্মাননা

‘কষ্ট হয়েছে, খেয়ে না-খেয়ে থেকেছি, কিন্তু ছেলেদের পড়ালেখা বন্ধ করিনি। তিন ছেলেই এখন চাকরি করে। নাতি-নাতনিদের নিয়ে ভালোই আছি।’

ভালো যে আছেন, মেরিনা বেসরার মুখের হাসিতেই তা ফুটে উঠল। তাঁর বড় ছেলে মাথিয়াস মুর্মু বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হাবিলদার। মেজ ছেলে মানুয়েল মুর্মু ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে সামুয়েল মুর্মু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব। সন্তানদের যোগ্য করে গড়ে তোলার স্বীকৃতি হিসেবে গত মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৫’-এ শ্রেষ্ঠ সফল জননীর সম্মাননা পেয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী এই নারী। এলাকায় সবাই তাঁকে এখন মান্য করে।

অথচ কী কষ্টেই না কেটেছে তাঁর প্রথম দিকের জীবন। নিজেই সেই দিনগুলের কথা বললেন মেরিনা, ‘মানুষের জমিতে কাজ করে দৈনিক পেতাম ২০ থেকে ৩০ টাকা। তিন ছেলেসহ পাঁচজনের সংসার। ওদের বাবা ঘরামির (রাজমিস্ত্রি) কাজ করত। মাঝেমধ্যে বড় ছেলেও ওর বাবার সাথে কাজে যেত। এভাবেই ছেলেদের বড় করেছি।’

গত মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘অদম্য নারী পুরস্কার-২০২৫’-এ শ্রেষ্ঠ সফল জননীর সম্মাননা পেয়েছেন মেরিনা বেসরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একঝলক (৬ জুলাই ২০২৫)
  • দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সোনা কেনা বেড়েছে, মে মাসে ২০ টন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৬ জুলাই ২০২৫)
  • জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে কিছু নিরীহ প্রশ্ন
  • বাঘ রক্ষায় ঢাকায় দৌড়ের আয়োজন, অংশ নিতে করতে হবে নিবন্ধন
  • উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল ত্রুটির বার্তা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ মাইক্রোসফটের
  • ছেলেদের পড়াশোনা করাতে কী কষ্টটাই না করেছেন এই মা, পেয়েছেন সরকারের শ্রেষ্ঠ সফল জননীর সম্মাননা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৫ জুলাই ২০২৫)
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৪ জুলাই ২০২৫)