না’গঞ্জ কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে সংবাদপত্র হকার্স সমিতির শুভেচ্ছা
Published: 28th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ এর চেয়ারম্যান কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফকে সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় কেএম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, সংবাদপত্র হকাররা সংবাদপত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তাদের ছাড়া সংবাদপত্র শিল্পের ধারণা করা কঠিন। সংবাদপত্র হকাররা প্রতিদিন সকালে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি আরো বলেন, হকাররা সংবাদপত্র পাঠকের বাড়ি বা অফিসে পৌঁছে দেন, যা তাদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়ার একটি প্রধান মাধ্যম।
মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেছেন, হকাররা সংবাদপত্র শিল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের ছাড়া সংবাদপত্র বিতরণ ব্যবস্থা অচল।
এ সময় তিনি হকারদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নিজেদের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান। তাদের পাশে সবসময় থাকবেন বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবি হোসেন, নবনির্বাচিত সভাপতি ছানাউল করিম শিপলু, সম্পাদক মেহেদী হাসান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইমরান, সহ সভাপতি রাহাত হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক নাছির হোসেন, প্রচার সম্পাদক সুজন মিয়া, সদস্য সালাউদ্দিন পাঠান, সাহাদাত হোসেন, রিয়াজুল ভূঁইয়াসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও দৈনিক আজকের নীরবাংলা'র সম্পাদক ও প্রকাশক এসএম ইমদাদুল হক মিলন, আজকের নীরবাংলা'র নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এসএম জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।