মাদকাসক্ত ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা, থানায় আত্মসমর্পণ বাবা-মায়ের
Published: 30th, July 2025 GMT
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মাদকের টাকার জন্য ঘরে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে হাসান গাজী (২০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন তার বাবা-মা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ২টায় বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভরপাশা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হাসানের বাবা জাফর গাজী ও মা নাজমা বেগমকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রতিবেশী সুরুজ জানিয়েছেন, হাসান গাজী মাদকাসক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে সে মাদক কেনার টাকার জন্য বসতঘর ভাঙচুর ও মা-বাবাকে মারধর করে। এ সময় বাবা জাফর গাজী লোহার পাইপ দিয়ে হাসানের মাথা ও ঘাড়ের ওপর কয়েকটি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হাসান গাজীর।
বাকেরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে জাফর গাজী ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় এসে জানান যে, তারা দুজনে মিলে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত হাসানের নিকটাত্মীয় শাহজাহান জানিয়েছেন, হাসান মাদকাসক্ত ছিল। মঙ্গলবার সে তার বাবা-মার কাছে ৫ হাজার টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে ঘর ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে সে তার বাবা-মাকে মারধর করে। এ সময় তার বাবা জাফর গাজী লোহার পাইপ দিয়ে কয়েকটি আঘাত করলে হাসান মারা যায়।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মামলা এজাহারভুক্ত করে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/পলাশ/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ক রগঞ জ জ ফর গ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মৌলভীবাজারে পিবিআইর হাজতখানা থেকে আসামির লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাজতখানার ভেতর থেকে মোকাদ্দুস (৩২) নামে আসামির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পিবিআই।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার জেলা শহরের টিভি হাসপাতাল সড়কে পিবিআইর হাজতখানা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোকাদ্দুস কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি আলোচিত লিটন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ৯ আগস্ট কমলগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর পতনঊষার ইউনিয়নের কোনাগাঁও (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের ধানক্ষেত থেকে লিটন নামের এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে মোকাদ্দুস পলাতক ছিলেন। রবিবার রাত ৮টার দিকে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন মোকাদ্দুস। পরে তাকে লিটন হত্যার মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।
পিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর খাওয়া-দাওয়া শেষে মোকাদ্দুসকে ৭-৮ জন আসামির সঙ্গে হাজতখানায় রাখা হয়। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ডিউটি অফিসার গিয়ে দেখেন, মোকাদ্দুস নিজের লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও মোকাদ্দুসের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১১ সেপ্টেম্বর লিটনের বাবা সাত্তার মিয়া অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শামিম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআইর পুলিশ সুপার মো. জাফর হুসাইন বলেছেন, লিটন হত্যা মামলার তদন্ত আমাদের হাতে। মোকাদ্দুস রবিবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সোমবার সকালে হাজতখানায় আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি আমরা সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়েছি।
ঢাকা/আজিজ/রফিক