৮ গোলের থ্রিলার শেষে ব্রাজিলের টানা ৫ম কোপা আমেরিকা জয়
Published: 3rd, August 2025 GMT
এককথায় অবিশ্বাস্য!
মেয়েদের কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিল–কলম্বিয়া ম্যাচে যা হয়েছে, তা অবিশ্বাস্যই। ম্যাচটা নির্ধারিত সময়েই হেরে যাওয়ার কাছাকাছি ছিল ব্রাজিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোলে সমতা, এরপর অতিরিক্ত সময়ের পাল্টাপাল্টি গোলে আবার সমতা—ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। আর এত সব রোমাঞ্চের পর শেষ হাসি ব্রাজিলেরই, লাতিন আমেরিকা মহাদেশের টানা পঞ্চম শিরোপা।
সব মিলিয়ে কোপা আমেরিকার ১০ আসরের মধ্যে নয়বারই শিরোপা জিতলেন ব্রাজিলের মেয়েরা। ২০০৬ সালে আর্জেন্টিনার কাছে শিরোপা হাতছাড়া না করলে ১০ আসরের প্রতিটি জিততে পারত ব্রাজিল। অন্যদিকে কলম্বিয়াকে দুর্ভাগাই বলতে হয়। শেষ ৫ আসরের মধ্যে চারবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই ব্রাজিলের কাছে হেরেছে তারা।
যোগ করা সময়ে পঞ্চম মিনিট পর্যন্ত ৩–২ গোলে পিছিয়ে ছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল ব্রাজিল। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন অবসর ভেঙে ফেরা ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা। তাঁর দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যায় ব্রাজিল।
আরও পড়ুনমার্তার নামের পুরস্কারে মনোনয়ন পেলেন মার্তা নিজেই২৯ নভেম্বর ২০২৪৩৯ বছর বয়সী মার্তা এরপর ১০৫ মিনিটে ব্রাজিলকে ৪–৩ ব্যবধানে এগিয়েও দেন। কিন্তু ১১৫তম মিনিটে সমতা ফেরায় কলম্বিয়া, ৪–৪ ড্রয়ে ম্যাচ চলে যায় টাইব্রেকারে। ম্যাচে জোড়া গোল করলেও পেনাল্টি শুটআউটে অবশ্য গোল করতে ব্যর্থ হন মার্তা। যদিও তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ করতে হয়নি তাঁকে।
টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হাতে মার্তা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইনজুরির শঙ্কা, উত্তেজনার ঝড়: শেষ হাসি হাসল মেসিহীন মায়ামি
লিওনেল মেসিকে হারানোর ধাক্কা নিয়ে যখন মায়ামির সমর্থকরা স্তব্ধ, তখনই যেন নাট্যরচকের কলমে লেখা হলো এক রুদ্ধশ্বাস স্ক্রিপ্ট। যেখানে শেষ দৃশ্যে জয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসলেন জর্দি আলবা ও তার সতীর্থরা। লিগস কাপের এক উত্তেজনাকর লড়াইয়ে ইন্টার মায়ামি রবিবার (৩ আগস্ট) ঘরের মাঠে মেক্সিকোর ক্লাব নেকাসার বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল টাইব্রেকারে। ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন ৫-৪, কিন্তু তার চেয়েও বড় ঘটনা প্রথমার্ধেই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি।
ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটেই প্রতিপক্ষের বক্সে চমৎকার এক ড্রিবলে ঢোকার চেষ্টা করেন মেসি। কিন্তু নেকাসার রক্ষণভাগের কড়া চ্যালেঞ্জে পড়ে যান। কিছুটা অস্বস্তি নিয়েই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও খেলায় ফিরতে পারেননি। ১১ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তরুণ ফেদেরিকো রেদোনদো। মেসির চোট গুরুতর না হলেও, তার মাঠ ছাড়ার দৃশ্য যেন কাঁপিয়ে দিয়েছিল স্টেডিয়ামের আবেগ।
মেসির মাঠ ছাড়ার এক মিনিট পরেই ডি পলের পাস থেকে গোল করেন তেলাস্কো সেগোভিয়া, এগিয়ে যায় মায়ামি। কিন্তু ১৭ মিনিটেই বড় ধাক্কা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মায়ামির ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিলিয়ানো ফ্যালকন। দশজনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৩৩ মিনিটে নেকাসাকে সমতায় ফেরান থমাস বাদালোনি।
আরো পড়ুন:
ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি
মেসির জাদুতে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি, ডি পলের অভিষেকে উচ্ছ্বাস
দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে নেকাসার ক্রিশ্চিয়ান ক্যালদেরনও লাল কার্ড দেখলে খেলাটি ১০ বনাম ১০ এ রূপ নেয়। এরপর ৮১ মিনিটে রিকার্দো মনরিয়ালের গোলে এগিয়ে যায় নেকাসা। ম্যাচ তখন মায়ামির নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যখন সবাই ধরেই নিচ্ছিলেন, জয় বুঝি নেকাসার পকেটে, তখনই নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটান স্প্যানিশ তারকা জর্দি আলবা। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই ডি পলের দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ম্যাচ ২-২ সমতায় ফেরান তিনি।
এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে মায়ামির শ্যুটাররা সবাই সফল হন। নেকাসার হয়ে বাদালোনি একমাত্র মিসটি করায় ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসিহীন মায়ামি। আগের ম্যাচে আটলাসের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জেতায় দুই ম্যাচে এখন মায়ামির সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির কোচ জাভিয়ের মাসচেরানো মেসির চোট নিয়ে বলেন, “আমরা এখনই কিছু নিশ্চিত বলতে পারছি না। তবে ব্যথা নেই, এটা ভালো খবর। হালকা অস্বস্তি আছে মাত্র।”
ইন্টার মায়ামির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ বৃহস্পতিবার, প্রতিপক্ষ মেক্সিকোরই আরেক ক্লাব পুমাস।
ঢাকা/আমিনুল