Prothomalo:
2025-08-07@17:26:33 GMT

দ্বন্দ্ব বড়ো ধন্দে আছে

Published: 7th, August 2025 GMT

ভুল পথে

যেভাবে পৃথিবীর নর–নারী চুমু খায়

যেভাবে ওম দেয় মায়ার শরীর

তুমি একা ভুল পথে

আর আমি তোমার নদীর

মুখ ভাঙা নথ... পড়ে আছি কাদায়

তুমি চুপ তুমি কথা

চেনা চেনা পথ পার

যেন আর একবার গালে মুখ কান্নার

একবার দেখবে আমায়?

শরীর

হৃদয়ের মতো এক অলস আবহাওয়ায়

শুনে ওঠা হচ্ছে না শরীরকে। খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে

জানালায় এসে দিচ্ছে টুকে সামান্য ফোঁটা বৃষ্টিপাত।

দিন গড়িয়ে নামছে রাত!

মাঝে মাঝে মনে হয়, এখানে তুমি নেই

তোমাকে ঘিরে আছে একমানুষ শূন্যতা!

দরাজের চাবিতে হাওয়া হয়ে বেদনা হয়ে

জলের দাবিতে মাছ হয়ে ঢুকে পড়ছ।

আকাশে রংবদলের সন্ধ্যা, অথচ তোমার ছিল

শূন্য হবার তাড়া। মাঝে মাঝে মনে হয়, তুমি

ঘুরছ আসলে নির্জনে। মানুষের মতো আর

কিছু নেই—শুধুমাত্র শরীর ছাড়া!

মুঠোর থেকে দূরে

জীবন গিয়েছে মুঠোর থেকে দূরে

কাছাকাছি আর একবার যদি আসে

এই বসে থাকা অপেক্ষারা জানে

জীবন সামান্য নিশ্বাস ভালোবাসে।

ঘাড়ের ওপর ফেলছ কেমন শ্বাস

চমকে চমকে উঠছে চোখের পাতা

তুমিও দেখেছ কতটা ভেঙেছে মন

কতটা হিসাব লিখেছে ব্যস্ত খাতা।

ট্রেনের স্মৃতি

যেকোনো স্মৃতিই পারে

অস্পষ্ট জীবনের খোঁজে বেরিয়ে পড়তে।

তোমার ফিরে আসাকে আর লাগে না প্রিয়

যেমন লোভনীয় লাগে তোমার চলে যাওয়া।

কেন পথ পারে না আর ফেরাতে তোমাকে।

ভাবতে ভাবতে দেখি জীবন চেয়েছে যাকে

তার জায়গা সে নিয়েছে করে ঠিক।

যেভাবে সময় যায়। যেভাবে তারিখ পেছায়

যেভাবে যেদিকে যাবার গেছে

ট্রেনের স্মৃতি তার হুইসেল মাথায় নিয়ে

ঝিকঝিক ঝিকঝিক!

যেতে যেতে বলি

দ্বন্দ্ব তার উপেক্ষা বড় নির্মম এই সন্ধ্যায়। ক্রমাগত এক

বিলীয়মান নদী। হাসতে থাকো। নদীর ওপর নৌকো হয়ে।

এই নদীটা সেই যে বইয়ের চিত্রা পাতায় বয়ে গেছে। দ্বন্দ্ব

বড়ো ধন্দে আছে। এই রে কাজল! নদীর চোখে কষ্ট ধোয়ার

কাজ দিছে কে গাধার বাচ্চা কোন ধোপানী? সন্ধ্যা কি আর

সন্ধ্যা রইল! ফাঁসির আদেশ গলায় ধরে চিকন্ত জলঢলের দাবি।

নদীর বুকে এ দ্বন্দ্বেরা চিরটা–কাল চৈতা ফাগুন। জাদুকরি

শিমুল–পলাশ। যারপরনাই এখন–তখন বৃষ্টি ঝরে আর

ঝরে না। নদী বড় দস্যি মেয়ে। হাওয়া শীতল দ্বন্দ্ব নিয়ে

সন্ধ্যা কাটায়। বুলিবিদ্যা বৃষ্টি নামাও। হাস্যমুখী ঝাঁপখোলা এক

চায়ের দোকান হাসাও ভাসাও!

যেতে যেতে বলি

ওহে বিকেল, বকুল ধরা হাতে ধরো ইচ্ছেমতো নদী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ বন দ ব

এছাড়াও পড়ুন:

বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার: হত্যার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেপ্তার, ছেলে পলাতক

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার একটি কলাবাগান থেকে গত মঙ্গলবার রাতে ছামছুর আলী খলিফা (৬০) নামের এক বৃদ্ধের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার পর হত্যার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত ব্যক্তির বাড়ি থেকে হত্যা ও লাশ পোড়ানোর আলামত জব্দের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল বুধবার নিহত ছামছুরের ছোট ভাই মুজাহিদ খলিফা বাদী হয়ে তাঁর ভাতিজা মো. রাসেল খলিফা ও ভাবি মোছা. রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর বৃদ্ধের ছেলে রাসেল খলিফা আত্মগোপনে আছেন।

নিহত ছামছুর আলী খলিফার বাড়ি পাশের নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া-বটতলী এলাকার একটি কলাবাগানে বস্তা ভরা তাঁর দগ্ধ লাশ পাওয়া যায়।

পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে ছামছুর আলীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বৃদ্ধ ছামছুর আলী ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ ওই দিন রাতে আক্কেলপুরে কলাবাগানে পোড়া লাশ উদ্ধারের পর বৃদ্ধের ছেলেকে ফোন করে। তখন তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার নগরকুসুম্বি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাসেল খলিফা পুলিশকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বলার পর ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন পুলিশের একটি দল নিহত ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির আঙিনায় একটি মাটির পাতিলের ভেতরে বৃদ্ধের মুঠোফোন ও লাশ পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত গোবরের লাকড়ি জব্দ করে। পরে লাশ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাসেল খলিফার অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়। তবে এখনো রাসেল খলিফার অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি।

মামলার বাদী মুজাহিদ খলিফা বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে আমার বড় ভাই ছামছুর খলিফাকে তাঁর ছেলে রাসেল খলিফা হত্যা করেছে। লাশ গুম করতে কলাবাগানে আমার ভাইয়ের মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিন্নাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ