ভুল পথে
যেভাবে পৃথিবীর নর–নারী চুমু খায়
যেভাবে ওম দেয় মায়ার শরীর
তুমি একা ভুল পথে
আর আমি তোমার নদীর
মুখ ভাঙা নথ... পড়ে আছি কাদায়
তুমি চুপ তুমি কথা
চেনা চেনা পথ পার
যেন আর একবার গালে মুখ কান্নার
একবার দেখবে আমায়?
শরীরহৃদয়ের মতো এক অলস আবহাওয়ায়
শুনে ওঠা হচ্ছে না শরীরকে। খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে
জানালায় এসে দিচ্ছে টুকে সামান্য ফোঁটা বৃষ্টিপাত।
দিন গড়িয়ে নামছে রাত!
মাঝে মাঝে মনে হয়, এখানে তুমি নেই
তোমাকে ঘিরে আছে একমানুষ শূন্যতা!
দরাজের চাবিতে হাওয়া হয়ে বেদনা হয়ে
জলের দাবিতে মাছ হয়ে ঢুকে পড়ছ।
আকাশে রংবদলের সন্ধ্যা, অথচ তোমার ছিল
শূন্য হবার তাড়া। মাঝে মাঝে মনে হয়, তুমি
ঘুরছ আসলে নির্জনে। মানুষের মতো আর
কিছু নেই—শুধুমাত্র শরীর ছাড়া!
মুঠোর থেকে দূরেজীবন গিয়েছে মুঠোর থেকে দূরে
কাছাকাছি আর একবার যদি আসে
এই বসে থাকা অপেক্ষারা জানে
জীবন সামান্য নিশ্বাস ভালোবাসে।
ঘাড়ের ওপর ফেলছ কেমন শ্বাস
চমকে চমকে উঠছে চোখের পাতা
তুমিও দেখেছ কতটা ভেঙেছে মন
কতটা হিসাব লিখেছে ব্যস্ত খাতা।
ট্রেনের স্মৃতিযেকোনো স্মৃতিই পারে
অস্পষ্ট জীবনের খোঁজে বেরিয়ে পড়তে।
তোমার ফিরে আসাকে আর লাগে না প্রিয়
যেমন লোভনীয় লাগে তোমার চলে যাওয়া।
কেন পথ পারে না আর ফেরাতে তোমাকে।
ভাবতে ভাবতে দেখি জীবন চেয়েছে যাকে
তার জায়গা সে নিয়েছে করে ঠিক।
যেভাবে সময় যায়। যেভাবে তারিখ পেছায়
যেভাবে যেদিকে যাবার গেছে
ট্রেনের স্মৃতি তার হুইসেল মাথায় নিয়ে
ঝিকঝিক ঝিকঝিক!
যেতে যেতে বলিদ্বন্দ্ব তার উপেক্ষা বড় নির্মম এই সন্ধ্যায়। ক্রমাগত এক
বিলীয়মান নদী। হাসতে থাকো। নদীর ওপর নৌকো হয়ে।
এই নদীটা সেই যে বইয়ের চিত্রা পাতায় বয়ে গেছে। দ্বন্দ্ব
বড়ো ধন্দে আছে। এই রে কাজল! নদীর চোখে কষ্ট ধোয়ার
কাজ দিছে কে গাধার বাচ্চা কোন ধোপানী? সন্ধ্যা কি আর
সন্ধ্যা রইল! ফাঁসির আদেশ গলায় ধরে চিকন্ত জলঢলের দাবি।
নদীর বুকে এ দ্বন্দ্বেরা চিরটা–কাল চৈতা ফাগুন। জাদুকরি
শিমুল–পলাশ। যারপরনাই এখন–তখন বৃষ্টি ঝরে আর
ঝরে না। নদী বড় দস্যি মেয়ে। হাওয়া শীতল দ্বন্দ্ব নিয়ে
সন্ধ্যা কাটায়। বুলিবিদ্যা বৃষ্টি নামাও। হাস্যমুখী ঝাঁপখোলা এক
চায়ের দোকান হাসাও ভাসাও!
যেতে যেতে বলি
ওহে বিকেল, বকুল ধরা হাতে ধরো ইচ্ছেমতো নদী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ বন দ ব
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুই ট্রলারসহ আটক ২২
মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুইটি ট্রলারসহ ২২ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নৌঘাঁটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে সমুদ্রপথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করছে—এ তথ্যের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়। টহলে থাকা নৌবাহিনীর জাহাজ প্রত্যাশা সেন্টমার্টিন থেকে ৩৬.৫ মাইল পশ্চিমে দুটি কাঠের ট্রলার দেখতে পায়। নৌবাহিনীর জাহাজ কাছে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলার দুটি আটক করেন।
আটক ‘খাজা গরিব-ই-নেওয়াজ-৬’ এবং ‘মা বাবার দোয়া-১০’ নামের ট্রলারে তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২২ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে জব্দ মালামাল ও আট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব