সখীপুরে বিএনপির পদত্যাগ করা ১১ নেতার মধ্যে ৩ জনের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার
Published: 26th, November 2025 GMT
টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে বিএনপি-মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করা ১১ নেতার মধ্যে ৩ জন পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে সখীপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে তাঁরা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা তিনজন হলেন সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান, দারিয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্যসচিব শামীম শিকদার ও একই কমিটির সদস্য মিয়া হোসেন।
শামীম শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে পদত্যাগ করেছিলাম। পরে বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিম উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণ এবার ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আশা করছেন, ভুল বুঝতে পেরে অনেকেই আবার দলে ফিরে আসবেন। যাঁরা ফিরে আসবেন, তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনটাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিএনপির ১১ নেতার পদত্যাগ২৫ নভেম্বর ২০২৫এদিকে পদত্যাগ করা সখীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান (সাজু), সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ও উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে জেলা বিএনপি। আজ দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ফরহাদ ইকবাল চিঠিগুলো নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। প্রতিটি চিঠিতে উল্লেখ করা ছিল, ‘এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হলো।’
গত সোমবার রাতে ওই ৪ নেতাসহ ১১ জন বিএনপির পদধারী নেতা পদত্যাগ করেন। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিএনপির ১১ নেতার পদত্যাগ’ ও ‘দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে টাঙ্গাইলে বিএনপির আরও ২২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা’ শীর্ষক শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুনদলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে টাঙ্গাইলে বিএনপির আরও ২২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা৩ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পদত য গপত র ন ত র পদত য গ ব এনপ র স ১১ ন ত র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি প্রাণিসম্পদ খাত: উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, “উৎপাদন থেকে বিপণন প্রত্যেক পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান নীরব হলেও জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। তবে খাতের উৎপাদন বজায় রাখা এবং নির্বিঘ্ন রাখতে পারাটাই বর্তমানের প্রধান চ্যালেঞ্জ।”
আরো পড়ুন:
বঞ্চিত এসআই–সার্জেন্টদের যোগদানে প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদন দাবি
ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বল্প পুঁজিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে, নারীর ক্ষমতায়নে, বাণিজ্যিক খামার ও সহায়ক শিল্প গড়ে তুলতে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এবং সুস্থ, সবল জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।”
ফরিদা আখতার আরো বলেন, “প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগের ফলে দেশে দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য অপ্রতুলতা, সংক্রমণযোগ্য রোগ এবং এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “প্রাণিদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ বরদাস্ত করা হবে না এবং এ জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।”
উপদেষ্টা জানান, জাতীয় পর্যায়ে এত বড় পরিসরে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উদযাপন এবারই প্রথম। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘দেশীয় জাত, আধুনিক প্রযুক্তি: প্রাণিসম্পদে হবে উন্নতি।’
তিনি বলেন, “গ্রামীণ নারীরা তাদের পরিবারের সদস্যের মতো প্রাণি পালন করেন, যা রোগ কমাতে সাহায্য করে এবং উৎপাদন খরচও কম রাখে।”
ফরিদা আখতার রমজান মাসে স্বল্পমূল্যে প্রাণিজ পণ্য বিতরণের উদ্যোগও তুলে ধরেন। ২০২৫ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং খামারিদের সহযোগিতায় ৪৯৫টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দুধ, মাংস ও ডিম বিতরণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ভোক্তার মাঝে ৩১ কোটি ৭৩ লাখ ১২ হাজার টাকার সমমূল্যের পণ্য পৌঁছেছে।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও রেসিডিউ নিয়ন্ত্রণ, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, জলবায়ু-সহনশীল খামার ব্যবস্থাপনা, দেশীয় জাত সংরক্ষণ এবং খামারিদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা জরুরি।”
ঢাকা/এএএম/এসবি