জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘র্যাগিংয়ের’ জন্য তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার, চারজনকে ক্লাস থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
Published: 11th, August 2025 GMT
‘র্যাগিংয়ের’ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া চার শিক্ষার্থীকে ক্লাস কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা ও সতর্ক করা হয়েছে।
রোববার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে পাওয়া র্যাগিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার বিভাগে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের তিনজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন যুবরাজ হাসান, মোছা রাজিয়াতুন নাহার নিশু, রহমাতুল্লাহ মাজী।
অন্য আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ শিক্ষার্থীকে ক্লাস কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা ও সতর্ক করা হয়। তাঁরা হলেন সামিয়া আঁখি, মো.
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এ ব্যাপারে মুচলেকা নেওয়ার জন্য ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে বিকেলে বিভাগের জরুরি একাডেমিক সভা আয়োজনের নির্দেশ দিই। একাডেমিক সভায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমরা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। নবীন শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম ক স ট ড জ ব ভ গ র শ ক ষ বর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪