Prothomalo:
2025-10-03@06:43:12 GMT

নাকের ক্ষয়রোগের চিকিৎসা

Published: 3rd, October 2025 GMT

অ্যাট্রোপিক রাইনাইটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়রোগ, যাতে নাকের ঝিল্লি, ঝিল্লির নিচের অংশ বা তার আশপাশের হাড় ক্ষয় হয়ে যায়। এই ক্ষয়রোগের কারণ হলো নাকের রক্তনালি এবং তার আশপাশের নালির প্রদাহ, যা রক্ত সরবরাহে বাধা দেয়। এটি একটি বিশেষ ধরনের রোগ, যা বিলম্বে নির্ণয় হয়। রোগটি নারীদের বেশি হয়।

এ রোগের কারণের মধ্যে রয়েছে বংশগত, অপুষ্টি এবং পুষ্টিহীনতা, নাক ও সাইনাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ, রক্তনালির প্রদাহ, হরমোনজনিত, নাকের হাড়ের অসামঞ্জস্য ও ইমিউনোলজিক্যাল।

উপসর্গ ও চিহ্নগুলো

নাক দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়, যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না, কিন্তু তার আশপাশের লোকজন দুর্গন্ধ পায়।

নাক বন্ধ থাকে, যা নাকের একদিকে বা দুই দিকেই হতে পারে এবং যা সবুজ, দুর্গন্ধযুক্ত রস নিঃসরণ করে।

মাঝেমধ্যে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। 

মাথাব্যথা, নাক ও গলা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। 

নাকের পরীক্ষায় দেখা যায়, নাকের গহ্বর বেশ বড় এবং তাতে সবুজ আস্তরণ বা ক্রাস্ট ভর্তি।

এ ছাড়া নাকের আশপাশের মাংসগুলো শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়। 

নাক দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয় বলে রোগীর বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

নাক ও সাইনাসের এক্স-রে

রক্ত পরীক্ষাসমূহ: রক্তের রুটিন পরীক্ষা যেমন গ্লুকোজ। এ ছাড়া ভিডিআরএল, টিপিএইচএ, এইচআইভি।

নাক ও সাইনাসের সিটি স্ক্যান, নাকের নিঃসৃত রসের কালচার ও সেনসিভিটি পরীক্ষাগুলো উন্নত দেশে নিয়মিত করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পরীক্ষাগুলো নিয়মিত ভিত্তিতে করা হয় না। 

চিকিৎসা

প্রধানত ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়। মাঝেমধ্যে এ রোগের জন্য অপারেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে, যদি তা ওষুধের মাধ্যমে না সারে।

ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা

গ্লিসারিনের সঙ্গে শতকরা ২৫ ভাগ গ্লুকোজের মিশ্রণ প্রতিদিন ৪-৫ ফোঁটা করে দুই নাকের ছিদ্রে দিনে ৩-৪ বার করে দীর্ঘ মেয়াদে দেওয়া হয়। 

অ্যালকালাইন দ্রবণ দিয়ে নাকের গহ্বার নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। 

অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে, যখন তা জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়।

এ ছাড়া পরিপূরক হিসেবে ভিটামিন দেওয়া যেতে পারে। 

উল্লিখিত চিকিৎসা ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা রয়েছে।

অস্ত্রোপ্রচারের মাধ্যমে চিকিৎসা

ইয়াংগস অপারেশন (Young’s Operation) 

অন্যান্য সার্জারি

 ডা.

এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, ইএনটি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র আশপ শ র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন। 

গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’

সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?

পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”  

ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।” 

পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ