হুস্তাই ন্যাশনাল পার্ক! আমার ভ্রমণসঙ্গী ফাইয়াজ আলম খান জানতে চাইল কী দেখব ন্যাশনাল পার্কে? বিরল প্রজাতির ঘোড়া দেখব বলে গোবি মরুভূমির পাট চুকিয়ে যাচ্ছি হুস্তাই ন্যাশনাল পার্ক। আজ রাত্রিবাস সেখানকার ক্যাম্পের ঘেরে। ঘণ্টা তিনেক লাগবে। দুঘণ্টা মূল সড়ক, তারপর অফফ রোড। ড্রাইভার আর্থের ভাষায়। অফফ রোড মানে স্তেপ আর মালভূমি অঞ্চল।
জিপে বসে থাকা দায়। একবার খাদে নামছে তো একবার ওপরে উঠছে। আচমকা দেখছি এক গাদা ভেড়ার পাল জিপের সামনে। মনে হয় সংখ্যা লাখখানেক ছাড়িয়ে যাবে। এত ভেড়া একসঙ্গে আমি কোনো দিন দেখিনি। কোনো কোনো ভেড়ার গা থেকে লোম খুলে যাচ্ছে। সেই আধখোলা লোম ঝুলছে ভেড়ার গায়ে। এ রকম করেই তারা দৌড়ে বেড়াচ্ছে রাস্তার এক মাথা থেকে অন্য মাথায়। গ্রীষ্মকালে এদের লোম ঝরে পড়ে। ব্যাকট্রিয়ান ক্যামেলদেরও একই অবস্থা দেখেছি।
দূর থেকে ক্যাম্প দেখছি। ২০–২৫টি ঘের হয়তো রয়েছে ক্যাম্পে। আশপাশে ১০০ মাইলের মধ্যে কোনো জনমানব আছে বলে মনে হয় না। এত কাছে মনে হচ্ছিল। কিন্তু যাচ্ছি তো যাচ্ছি।
হুস্তাই পার্কের সন্ধ্যা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুই ট্রলারসহ আটক ২২
মিয়ানমারে পাচারকালে সিমেন্টবোঝাই দুইটি ট্রলারসহ ২২ জনকে আটক করেছে নৌবাহিনী। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নৌঘাঁটি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে সমুদ্রপথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করছে—এ তথ্যের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়। টহলে থাকা নৌবাহিনীর জাহাজ প্রত্যাশা সেন্টমার্টিন থেকে ৩৬.৫ মাইল পশ্চিমে দুটি কাঠের ট্রলার দেখতে পায়। নৌবাহিনীর জাহাজ কাছে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলার দুটি আটক করেন।
আটক ‘খাজা গরিব-ই-নেওয়াজ-৬’ এবং ‘মা বাবার দোয়া-১০’ নামের ট্রলারে তল্লাশি করে ১ হাজার ৫০০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২২ সদস্যকে আটক করা হয়। পরে জব্দ মালামাল ও আট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব