Risingbd:
2025-12-05@07:26:41 GMT

কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম

Published: 5th, December 2025 GMT

কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম

সরবরাহ ভালো থাকায় কমেছে মাছ মুরগি ও সবজির দাম। বিক্রেতারা বলছে গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় সবজি ও চাষের মাছের দাম কমেছে গড়ে বিশ থেকে ত্রিশ টাকা পর্যন্ত। 

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সপ্তাহে সবজি বাজারে সরবরাহ ভালো থাকা দাম কমেছে। গত সপ্তাহে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়, সেই বেগুন এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে মূলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

এছাড়াও এখন বাজারে প্রতি কেজি দেশি শশা ৮০টাকা, করলা ১০০ টাকা, গাজর (দেশি) ৮০ থেকে ১০০টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কাঁচমরিচ ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলু ১০০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে মাছ ও মুরগির দাম 
বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে মাছের দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে চাষের মাছে কেজি প্রতি গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এ সপ্তাহে বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০টাকায়। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ মাছ ২০০ থেকে ২২০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচমেশালি ছোট মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ৪০০ গ্রাম ওজনের পদ্মার ইলিশ ১২০০টাকা এবং চট্টগ্রামের ইলিশ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এ সপ্তাহেও মুদি পণ্য উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। রসুন (দেশি)১০০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছে সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি লিটারে দাম বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গত বুধবার সাংবাদিকদের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “ব্যবসায়ীরা যে প্রক্রিয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন, এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কিছুই জানত না। কোম্পানিগুলো সামগ্রিকভাবে একত্র হয়ে এ কাজটি (ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো) করেছে। এই কাজটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।”

কী বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা
রাজধানীর রায়েরবাজারে কেনাকাটা করছিলেন শিক্ষার্থী হান্নান শাহ। তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “সবজির দাম কমছে ঠিক আছে। কিন্তু মুদিবাজারে ও সয়াবিন তেলের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটরা মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। কারণ মানুষ কিনতে বাধ্য। তাদের প্রতি সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ করা উচিত।”

কারওয়ান বাজারের মাছ বিক্রেতা আলম বেপারী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম কমেছে। সামনে আরো কমতে পারে। কারণ এখন চাষের মাছের সরবরাহ বেড়েছে।”

ঢাকা/রায়হান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ম কম ছ র দ ম কম ৬০ ট ক য ১০০ ট ক সরবর হ ম রগ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন

নতুন ব্যবসা চালু করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন বহু উদ্যোক্তা। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জিইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন যদি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক গতিপথ ঠিক করে এবং নতুন সরকার এসে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, আর্থিক ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাবে।

জিইডির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক আশাবাদ দেখিয়েছে জিইডি। জিইডি বলছে, একদিকে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাস ও দুর্বল ব্যাংকিং খাত স্থানীয় চাহিদা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে সীমিত করতে পারে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভালো অবস্থায়

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবস্থান ভালো হওয়ার বড় কারণ।

জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বা বহির্বাণিজ্যের সূচকে অস্থিরতা ছিল। রপ্তানি আয়ের সূচকও ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও জুনে রপ্তানি আয়ে পতন দেখা যায়। তবে অক্টোবরে এই সূচকের অবস্থানে উন্নতি দেখা যায়। তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানির সূচকে বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত ধীরগতি দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে উন্নতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। এর কারণ খাদ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছে ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও আমদানি করা পণ্যের চাপ কম থাকায় চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমার বড় কারণ হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ৪৭ শতাংশ

খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। আর মাছ ও মাংসের ভূমিকা ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে পর্যাপ্ত মৌসুমি সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির দাম কম ছিল। তাই সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সবজি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মমতাজের জনপ্রিয় পঞ্চমিশালি আচার
  • ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি, আবার পুতিনকেও উষ্ণ অভ্যর্থনা: একসঙ্গে দুই কূল কি রাখতে পারবে ভারত
  • পুতিনের ভারত সফর, কী থাকছে অর্থনীতিতে
  • সংস্কারকাজ শেষে হবিগঞ্জ-৫নং কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট
  • সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা : বাণিজ্য উপদেষ্টা
  • জামালপুরে সারের দাবিতে কৃষকদের সড়ক অবরোধ
  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন