পাভলোভা তৈরির উপকরণ
ডিম: ৪টি সাদা অংশ (স্বাভাবিক তাপমাত্রা),
গুঁড়া চিনি: এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ
লেবুর রস: ১ চা–চামচ
ভ্যানিলা এসেন্স: আধা চা–চামচ
কর্নফ্লাওয়ার: ২ চা–চামচ।
প্রণালিওভেন ১৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। একটি বেকিং শিটে পার্চমেন্ট পেপার রেখে ৮ থেকে ৯ ইঞ্চি ব্যাসের বৃত্ত এঁকে নিন। এবার পরিষ্কার মিক্সিং বোলে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নরম ফোমের মতো না হওয়া পর্যন্ত বিট করুন। এরপর এক টেবিল চামচ করে চিনি যোগ করে ধীরে ধীরে বিট করতে থাকুন। চিনি ভালোভাবে মিশে গেলে মেরাংটি শক্ত ও চকচকে না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি উচ্চ গতিতে বিট করতে থাকুন। এরপর কর্নফ্লাওয়ার, লেবুর রস ও ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন।
মেরাংটি এবার পার্চমেন্ট পেপারে আঁকা বৃত্তের মধ্যে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। মাঝখানে একটু নিচু আর কিনারাগুলো একটু উঁচু হবে, যাতে ক্রিম ও ফল দেওয়ার জন্য একটি বাটির মতো আকার তৈরি হয়। তাপমাত্রা ১২৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ওভেনে বেক করুন। মেরাংয়ের বাইরেটা শুকনা হলে বুঝবেন হয়ে গেছে। বেক হয়ে গেলে ওভেন বন্ধ করে দিয়ে দরজা সামান্য খুলে রাখুন। ওভেনের মধ্যেই পাভলোভা পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন।
আরও পড়ুনযেভাবে লেবু খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন২২ জুলাই ২০২৫লেমন কার্ড তৈরির উপকরণডিমের কুসুম: ২টি
ডিম: ২টি
চিনি: আধা কাপ
লেবুর রস: আধা কাপ
মাখন: ৪ টেবিল চামচ
লেবুর খোসার কুচি: ১ চা–চামচ।
লেমন কার্ড পাভলোভা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের কাছে সিরিজ হারল দ. আফ্রিকা
ফয়সালাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শুরু দেখে কেউ কি ঘুনাক্ষরেও ধারণা করতে পেরেছিল ম্যাচের পরিণতি এমন হবে! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের চোখে-মুখে তখন ছিল উৎকণ্ঠা, বড় রানের শঙ্কা।
অথচ উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সাজানো সংসার! নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে অলআউট তারা। সেটাও মাত্র ৩৭.৫ ওভারে। ৫৬ রানে শেষ ৯ এবং ৩৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ, উত্তেজনা সব নষ্ট করে দেন ব্যাটসম্যানরা।
আরো পড়ুন:
অভিষেকের বিশ্ব রেকর্ড গড়া ম্যাচও বৃষ্টির পেটে, সিরিজ ভারতের
শ্রীলঙ্কা দলে প্রথমবার ডাক পেলেন এসহান, টি-টোয়েন্টিতে ফিরলেন রাজাপাকসে
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ৭ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
আহমরি বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে নাটকীয় ধস নেমেছিল। ইনিংসের মধ্যভাগে ব্যাটসম্যানরা কেউ প্রতিরোধই করতে পারছিলেন না। ওপেনিংয়ে লুহান ড্রি প্রিটোরিয়াস ৩৯ ও ডি কক সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। এরপর তাদের দুই ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারে। অধিনায়ক ব্রিটজি ও পেটার ১৬ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। বাকিরা ক্রিজে এসেছেন আর ফিরেছেন।
১০ ওভারে ১ মেডেনে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ছিলেন তাদের সেরা বোলার। ২টি করে উইকেট নেন পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, স্পিনার সালমান আগা ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান জমা না করতেই ফখর জামান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে এসে বাবর ৫ বাউন্ডারিতে নিজের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন। মনে হচ্ছিল, আজ তার ব্যাট থেকে ভালো একটি ইনিংস আসবে। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়ে তার ইনিংস থেমে যায় ২৭ রানে।
সেখান থেকে সায়েম আইয়ুবের ৭০ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ৭৭ রানের ইনিংস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩২ রানে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
আববার দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। কুইন্টন ডি কক ২৩৯ রান করে হন সিরিজ সেরা। এই সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হলো আফ্রিদির। জয়ে সিরিজ শুরু করে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস পেলেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল