এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভির সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চলমান টানাপোড়েন নতুন মোড় নিয়েছে। এশিয়া কাপ ট্রফি ইস্যুতে বিসিসিআই নতুন করে নাকভিকে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

অবশ্য এটিকে সতর্কবার্তা না বলে প্রচ্ছন্ন হুমকিও বলা যায়। কারণ, নাকভিকে ই–মেইলে পাঠানো সর্বশেষ চিঠিতে বিসিসিআই লিখেছে, ভারতীয় দলকে ট্রফি না দিলে তাঁকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও এনডিটিভি এবং বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুবাইয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সূর্যকুমার যাদবের দল নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ, নাকভি শুধু এসিসির সভাপতিই নন; পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান।

ভারত মনে করে, এপ্রিলে পেহেলগামে যে হামলাকে কেন্দ্র করে মে মাসে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়েছিল, তাতে মদদ ছিল নাকভির। এ কারণে তাঁর কাছ থেকে ট্রফি নেননি সূর্যকুমার–বুমরা–কুলদীপ–অভিষেকরা।

এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ট্রফি ছাড়াই উদ্‌যাপন করেছে ভারত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “একাত্তারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলিয়ে দিতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যারা সেই যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগী ছিল, তারা আজ আবারো দেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে।”

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ড আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদের যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে অন্য পাতা ঢোকানো হয়েছে: ফখরুল

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিএনপি বিজয়ী হবে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোকে মুছে দিতে চাওয়া হচ্ছে; কিন্তু সেই ইতিহাস কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা বুকের ভেতর মুক্তিযুদ্ধকে বয়ে বেড়াচ্ছি, এটা আমাদের অস্তিত্বের অংশ, এখান থেকে বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।”

তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় মা-বোনদের পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যায় সহযোগিতা করেছিল— তাদের সঙ্গে কোনো আপোষ হতে পারে না। এরা বারবার মুখ বদলে সামনে আসছে, দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।”

বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে দেশের সর্বনাশ ডেকে আনা। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।”

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্বে করেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহম্মদ খান, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলীসহ ঠাকুরগাঁও জেলার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। 

সভায় বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। 

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ