১৬ বছর বাড়িঘরে থাকতে পারি নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়েছি
Published: 25th, October 2025 GMT
‘‘বিগত ১৬ বছর আমরা যে জুলুম অত্যাচারের শিকার হয়েছি। বাড়ি-ঘরে থাকতে পারি নাই, ব্যবসা-বাণিজ্য হারিয়েছি। দীর্ঘ সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। এ জন্য আমাদের অসংখ্য ভাই শহিদ হয়েছেন। কিন্তু আজও আমরা পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের রেখে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারি নাই। দেশকে এগিয়ে নিতে পতিত স্বৈরশাসকের আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।’’
শনিবার সবুজবাগ কালভার্ট রোডে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আফরোজা আব্বাস এ কথা বলেন।
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক কাঠামো—সব কিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমরা সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই। আমরা এই দেশে আর প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা চাই না। আমরা ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানুষকে জয় করতে চাই। একটা ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করতে চাই।’’
‘‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। তার মানে আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস ওই সময়েই হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়েও নানা ষরযন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচন রুখতে যারা আসবে তাদেরকে জনগণ রুখে দেবে। জনগণ এখন নিজেদের ভোটাধিকার চায়, এত বছর ভোটাধিকার থেকে তারা বঞ্চিত ছিল। সুতরাং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে লাভ নেই,’’ বলেন আফরোজা আব্বাস।
খিলগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ আকন্দের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে।”
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি
হেভিওয়েটদের বিপক্ষে এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন যারা
তারেক রহমান বলেন, “সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এই দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়-মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষাই আজ সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।”
তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, “শত শত মানুষ হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। অনেকে ফিরে আসেনি। যারা ফিরেছে, তাদের শরীরে নির্যাতনের নির্মমতা লেগে রয়েছে।”
বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইটি পার্ক ও অবকাঠামোর নামে যেসব প্রকল্প হয়েছে, তার অনেকগুলোই আজ অব্যবহৃত পড়ে আছে—সেখানে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরব। প্রয়োজনে এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধও করব।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো আবরার নির্মম হত্যার শিকার হোক। আমরা চাই না শহিদুল আলমের মতো কাউকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হোক। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষাই আমাদের প্রথম কাজ।”
তারেক রহমান জানান, জাতীয়তাবাদী দর্শনই মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও সমতার অধিকার নিশ্চিত করে। মানুষের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করব। নারীসমাজকে শক্তিশালী না করলে দেশ এগোবে না।”
শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানে সংকটে না পড়ে। দেশের ডাটাবেইস ধরে বিদেশে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের খাল খনন করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি গাছ লাগাতে হবে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, আমিনুল হক, হাসান জাফির তুহিন, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, এস এম জিলানী প্রমুখ।
ঢাকা/আলী/সাইফ