যশোরের ইজিবাইক চালক হত্যা মামলার আসামি শায়েস্তাগঞ্জে গ্রেপ্তার
Published: 25th, October 2025 GMT
যশোরের ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল ইসলাম আশাকে (৪০) হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
আসামি আশরাফুল যশোর জেলা সদরের শেংকরপুর গ্রামের মো. রেজাউল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
পুলিশের অভিযান, ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৭২৬
টেকনাফের পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা ৪৪ জন উদ্ধার
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
এ অভিযানে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ইজিবাইক চালক জাহিদুল হত্যা মামলার আসামি আশা গ্রেপ্তার হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম আশা যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১৮ অক্টোবর জাহিদুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলামের মধ্যে ইজিবাইক চালানোর প্রতিযোগিতা হয়েছিল। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আশ্রম রোড সংলগ্ন রামকৃষ্ণ আশ্রমের সামনে তাদের তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে আশা ক্ষিপ্ত হয়ে পাশে থাকা কাঠ দিয়ে জাহিদুলের মাথায় আঘাত করেন। এতে সে মাটিতে পড়ে যান।
পরে গুরুতর আহতাবস্থায় আশা নিজেই ইজিবাইকে করে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যান। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জাহিদুলের ছোট ভাই বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে আসামি আশাকে গ্রেপ্তার করে।
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আস ম হ দ ল ইসল ম যশ র জ ল আশর ফ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প